হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ড: কানাডাকে সহযোগিতা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর গত জুনে কানাডায় খুন হন
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনা তদন্তে কানাডাকে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ ঘটনায় ‘জবাবদিহি’ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

হরদীপ সিং নিহত হওয়ার ঘটনায় কানাডা ও ভারতের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনে মধ্যে গতকাল শুক্রবার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এক বক্তব্যের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। তিনি পার্লামেন্টে এক বিবৃতিতে বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের নেতা কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের এজেন্টরা জড়িত।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে গুরুদুয়ারার সামনে খুন হন হরদীপ সিং। ট্রুডোর বক্তব্যের পর কানাডা ও ভারত দুই দেশের কূটনীতিকদের পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়।

গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা চাই এ ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত হোক। তদন্তকাজকে নিজের গতিতে চলতে দেওয়া ও ফল পাওয়াটা জরুরি। আমরা আশা করি, ভারতীয় বন্ধুরা এ তদন্তকাজে ভালোভাবে সহযোগিতা করবে।’

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কানাডা। ভারতের সঙ্গেও ওয়াশিংটনের উষ্ণ সম্পর্ক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও কানাডা দুই দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ হচ্ছে।

হরদীপ সিং হত্যার ঘটনায় তদন্তে সহযোগিতার জন্য গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতি আহ্বান জানান ট্রুডো। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কানাডা ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চায়। তারা নয়াদিল্লিকে কোনো উসকানি দিতে চায় না। কানাডা সব সময় আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

আরও পড়ুন

তবে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, ভারতীয় এজেন্টরাই শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন। এর যথেষ্ট ‘বিশ্বাসযোগ্য কারণ’ রয়েছে।

আরও পড়ুন