ইরাক থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারে আলোচনা
ইরাকে থাকা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গতকাল শনিবার বাগদাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রথম দফায় আলোচনা হয়েছে।
ইরাক সরকার আশা করছে, এ আলোচনার মাধ্যমে বিদেশি সেনার উপস্থিতি কমানোর জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটবিরোধী আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সেনা মোতায়েন করা হয়। ওই বছর জঙ্গিগোষ্ঠীটি ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছিল। বর্তমানে ইরাকে মোটামুটি আড়াই হাজার বিদেশি সেনা রয়েছে।
তবে গত বছরের অক্টোবরের গোড়ায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট একের পর এক হামলার শিকার হয়েছে। ইরানের সঙ্গে যোগসূত্র থাকা গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এর জেরে পাল্টা হামলাও চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পটভূমিতে বাগদাদ অভিযোগ তোলে, ইরাকি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র ‘আগ্রাসন’ চালাচ্ছে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শিয়া আল-সুদানি এরই মধ্যে বিদেশি সেনাদের তাঁর দেশে ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আল-সুদানির সরকারের প্রতি ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা দলগুলোর সমর্থন রয়েছে।
যদিও গত বছরের আগস্টে ওয়াশিংটনে প্রাথমিক এক বৈঠকের পর থেকে সেনা প্রত্যাহারের আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এদিকে একজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, গতকাল ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে একটি ‘একমুখী ড্রোন হামলা’ চালানো হয়েছে। ওই ঘাঁটিতে জোট বাহিনীর সেনারা অবস্থান করছেন। একজন ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তাও এ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।