অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার চুক্তি

রক্সহাম রোড সীমান্ত ক্রসিং
ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার সীমান্তের অনানুষ্ঠানিক পারাপারের পথ দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল থামাতে দেশ দুটি একটি চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে চুক্তির কিছু বিষয় এখনো বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। আজ শুক্রবার দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে তা নির্ধারণ করা হবে। কানাডার এক সরকারি সূত্র এবং এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে সীমান্ত পারাপারের ক্ষেত্রে সেফ থার্ড কান্ট্রি অ্যাগ্রিমেন্টের (এসটিসিএ) বিধিমালা অনুসরণ করা হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কর্মকর্তারা নিজ নিজ সীমান্তের প্রবেশপথ থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফেরত পাঠাতে পারেন। তবে কুইবেকের রক্সহাম রোডের মতো অনানুষ্ঠানিক পথের ক্ষেত্রে এসব বিধি প্রয়োগ করা হয় না।

কুইবেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল থামাতে ট্রুডো চাপের মুখে আছেন। এ প্রদেশটি ফরাসি ভাষী–অধ্যুষিত। ট্রুডোর নির্বাচনী আসনও সেখানে। এমন অবস্থায় সংশোধিত সেফ থার্ড কান্ট্রি অ্যাগ্রিমেন্ট (এসটিসিএ) নিয়ে শুক্রবার অটোয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যে আলোচনা হবে। এরপর এ নিয়ে ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চুক্তির আওতায় কানাডা আগামী বছর মানবতার খাতিরে ওয়েস্টার্ন হেমিস্ফিয়ার থেকে অতিরিক্ত ১৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রহণ করবে।

ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বাইডেন কানাডায় পৌঁছান। শুক্রবার ট্রুডোর সঙ্গে কানাডার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই নেতা এবং তাঁদের স্ত্রীরা ট্রুডোর বাড়িতে মিলিত হবেন।

রক্সহাম রোড নামের অনানুষ্ঠানিক এ সীমান্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি পছন্দের পথ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ওপর ধরপাকড় অভিযান শুরু করার পর ২০১৭ সালে এ সীমান্ত ক্রসিং নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল। ওই অভিযানের পর কানাডা সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল দেখা গিয়েছিল।

নতুন চুক্তিটি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার পুরো সীমান্ত এলাকাই এসটিসিএর আওতায় আসবে। অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত ক্রসিংয়েও তখন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বাধা দেওয়া যাবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কানাডায় সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল বাড়তে দেখা গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ট্রুডোর কার্যালয়ের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।

গত বুধবার ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক মাস ধরে অনিয়মিত সীমান্ত ক্রসিংয়ের মতো জটিল এ ইস্যুর সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকার কাজ করছে। শিগগিরই এ নিয়ে ঘোষণা দিতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।