দেড় বছর পর ওয়াশিংটনে ট্রাম্প, আবারও প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত

আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটে বক্তব্য দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: রয়টার্স

দেড় বছর আগে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর আর ওয়াশিংটনে ফেরেননি তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার আবারও ওয়াশিংটনের রাস্তায় দেখা গেল তাঁকে। এদিন সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প আবারও ইঙ্গিত করেছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন। খবর এএফপির।

গতকাল ওয়াশিংটনে দেওয়া বক্তব্যে ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সব সময় বলি যে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রেসিডেন্ট পদে) করে আমি জিতেছিলাম। এরপর দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়ে আমি অনেক ভালো করেছি। আমাদের হয়তো আবারও এ কাজ করতে হবে। দেশকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে আমাদের।’

সামনের দিনগুলোতে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত বলবেন বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবারের ভাষণে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে দেওয়া বিভিন্ন অঙ্গীকারের কথা ট্রাম্পের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হতে শোনা গেছে। এ ছাড়া ২০২০ সালের নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী উল্লেখ করে ট্রাম্প যে মিথ্যা দাবি করে থাকেন, তা–ও এদিন প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয়ের সত্যায়ন ঠেকাতে ক্যাপিটল হিলে চালানো হামলার ঘটনায় কংগ্রেসের হাউস কমিটি যে তদন্ত করেছে, তারও নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প সরাসরি বলেননি যে ২০২৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন। তবে তিনি তেমনটা ইঙ্গিত করেছেন। বলেছেন, তিনি যা বিশ্বাস করেন, সেগুলোই ‘পরবর্তী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট’–এর অগ্রাধিকারের বিষয় হওয়া উচিত।

এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০২১ সালের মার্চে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর হায়াত রিজেন্সি হোটেলে এক সম্মেলনে রিপাবলিকান এ নেতা বলেছিলেন, তিনি তাঁর প্রতিপক্ষদের তৃতীয়বারের মতো পরাজিত করবেন।

গতকাল ট্রাম্প তাঁর ৯০ মিনিটের বক্তব্যটি দিয়েছেন রক্ষণশীল সংস্থা আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্পের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও আলাদা একটি সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনিও।

ইয়ং আমেরিকা’স ফাউন্ডেশন সম্মেলনে পেন্স বলেন, মার্কিন নাগরিকদের অবশ্যই ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে, অতীতের দিকে নয়।

আরও পড়ুন