পর্নো তারকাকে অর্থ দিয়ে নির্বাচনি বিধি ভেঙেছেন ট্রাম্প?

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্টর্মি ড্যানিয়েলসফাইল ছবি: রয়টার্স

পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় সোমবার ম্যানহাটনের আদালতে হাজিরা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩৪ ফেলোনি কাউন্টে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ট্রাম্প বলেছেন, তাকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে রাখতে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। কিন্তু সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে লুকিয়েছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এবার সেই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে।

আদালতে আদালতে প্রসিকিউটর অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে বেআইনি পথ অবলম্বন করেছেন ট্রাম্প। তথ্য গোপন রেখে অর্থ খরচ করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আগামী দুইমাস ধরে আদালতে এই মামলার শুনানি চলতে পারে। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে নির্বাচনী জনসভায় না গিয়ে ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হবে।

এ বিষয়ে সোমবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচার থেকে আমাকে সরানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এভাবে আমাকে হারানো যাবে না।’

এই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ভোটে জিতলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন।

আরও পড়ুন