বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলল নিউইয়র্ক টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করার পর জো বাইডেনকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদ।
প্রভাবশালী গণমাধ্যমটিতে গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক মতামত কলামে এ আহ্বান জানানো হয়।
সম্পাদক পরিষদ বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার রাতে একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন তিনি। হিমশিম খেয়েছেন মি. ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তাঁর মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।’
‘শ্রেষ্ঠ সরকারি কর্মচারী মি. বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না—এই ঘোষণা দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এক বেপরোয়া জুয়ায় লিপ্ত আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে নিজেকে স্পষ্টবাদী, বাধ্যকারী ও উদ্যোমী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার মতো অধিকতর যোগ্য বিকল্প রয়েছেন। ট্রাম্প ও বাইডেনের ঘাটতিগুলোর মধ্যে এর যেকোনোটি বেছে নিতে ভোটারদের বাধ্য করার মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি গ্রহণ করার কোনো কারণ দলের নেই। আমেরিকানরা যা নিজেদের চোখে দেখেছেন, বাইডেনের সেই বয়স ও দুর্বলতা তাঁরা এড়িয়ে যাবেন বা হিসেবে নেবেন না—সরলভাবে এটা আশা করা হবে এক বড় জুয়া’, বলেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
গতবার জো বাইডেন নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদের সমর্থন পাননি। সেটি তাঁর জন্য বেশ ভালোই হয়েছে।
সম্পাদক পরিষদ অবশ্য বলেছে, যদি বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজনকেই বেছে নিতে হয়, তবে তারা ‘দ্ব্যর্থহীন বাছাই’ হিসেবে এখনো বাইডেনকে সমর্থন করবে।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদের এমন সমালোচনায় গতকাল সন্ধ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারশিবির।
বাইডেনের প্রচারশিবিরের কো–চেয়ার সেডরিক রিচমন্ড বলেছেন, ‘গতবার জো বাইডেন নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদের সমর্থন পাননি। সেটি তাঁর জন্য বেশ ভালোই হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদ বলেছে, প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার রাতে একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়ারূপে আবির্ভূত হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন তিনি। হিমশিম খেয়েছেন মি. ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তাঁর মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে।
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রার্থী সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার ও এলিজাবেথ ওয়ারেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল দ্য টাইমস।
বাইডেন শিবিরের কো–চেয়ার মিচ ল্যান্ডরিউ গতকাল রাতে সিএনএনকে বলেন, বাইডেনের ওপর শতভাগ আস্থা রয়েছে তাঁর। তিনি আরও বলেন, ‘বাইডেন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন কি না, সেটি একান্তই তাঁর সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, আজ নর্থ ক্যারোলাইনায় জনগণের উদ্দেশে সে জবাব দিয়েছেন তিনি।’