চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক ওপেনএআই দপ্তরে স্যাম, ফেরা নিয়ে গুঞ্জন

স্যাম অল্টম্যান
ফাইল ছবি: রয়টার্স

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ খোয়ানোর পর গতকাল রোববার ওপেনএআইয়ের সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন স্যাম অল্টম্যান। এ দিন চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন সদ্য পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যানও। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা দুজনই ওপেনএআইয়ে ফিরতে পারেন।

ওপেনএআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন সিইও মিরা মুরাতি কর্মীদের জানিয়েছেন, স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যানকে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিকোয় প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দুজনই এসেছিলেন।

আলোচিত চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইওর পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার আগে স্যাম অল্টম্যান বিনিয়োগকারীদের বলেছিলেন, তিনি একটি নতুন কোম্পানি চালুর পরিকল্পনা করছেন, তবে আগের প্রতিষ্ঠানে স্যাম অল্টম্যানের ফেরার সম্ভাবনা নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে।

আরও পড়ুন

মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ গত শুক্রবার স্যাম অল্টম্যানকে চাকরিচ্যুত করার কথা জানায়। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্যামের সক্ষমতা নিয়ে পর্ষদের আস্থার ঘাটতির কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন

৩৮ বছর সয়সী স্যাম ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পরিচালনা পর্ষদ তাঁকে বরখাস্ত করায় ওপেনএআইয়ের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন গ্রেগ ব্রোকম্যান। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। স্যামকে চাকরিচ্যুত করার জেরে ব্রোকম্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওপেনএআই ছাড়েন।

এরপর গতকাল (১৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন স্যাম অল্টম্যান। ছবিতে তাঁকে ওপেনএআইয়ের সদর দপ্তরে অতিথির ব্যাজ পরে থাকতে দেখা যায়। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘প্রথম ও শেষবার এই ব্যাজ পরলাম।’

আরও পড়ুন

জানা গেছে, চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসা ওপেনএআইয়ে বিনিয়োগ করা অতিকায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট স্যাম অল্টম্যানকে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। মাইক্রোসফট স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করার পক্ষে।

আরও পড়ুন

বছরখানেক আগে চ্যাটজিপিটি বাজারে এনে প্রযুক্তিজগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বড় ধরনের প্রতিযোগিতার সূচনা করেছিলেন স্যাম অল্টম্যান। এরপর মেটা, মাইক্রোসফট, গুগল ও অ্যামাজনের মতো টেক জায়ান্টরা বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশে।

আরও পড়ুন