অক্টোবরে দেখা করবেন বাইডেন-মাখোঁ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই আগামী মাসে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দুই দেশের প্রধানের মধ্যে এক ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন কিনতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করে। এতে আগে ফ্রান্সের সঙ্গে করা ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি বাতিল করে ক্যানবেরা। এতে ক্ষুব্ধ হয় ফ্রান্স। এই চুক্তিকে বিশ্বাসভঙ্গের শামিল বলে মন্তব্য করে তারা। চুক্তির জের ধরে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি।

বুধবার ফোনালাপের পর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট দেখা করতে রাজি হয়েছেন। ফোনালাপে বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশগুলোর তৎপরতার কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যকার অভিন্ন লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া এবং দুই দেশের আস্থা নিশ্চিত করতে বাইডেন ও মাখোঁ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় যে তিক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তারও অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। আগামী সপ্তাহেই দেশটিতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতেরা ফিরে যাবেন বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির ফলে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উন্নতি করা সম্ভব বলে মনে করছেন বাইডেন ও মাখোঁ।

গত সপ্তাহের নিরাপত্তা চুক্তির জেরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক বেশ তপ্ত হয়ে ওঠে। প্যারিস অভিযোগ করে, গোপনে ওয়াশিংটন ও লন্ডনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্যানবেরা। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান এই চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা এবং পেছন থেকে ছুরিকাঘাত বলে মন্তব্য করেন। চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটি ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ ও অপমানজনক আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সবকিছুর মধ্যে কয়েক দিন আগে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাখোঁর সঙ্গে ফোনালাপের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েই বুধবারের ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয় দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে।