অভিবাসী শিশুদের মা-বাবার সঙ্গে আটকে রাখবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলেছে, অবৈধ পন্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রমকারী শিশু ও মা-বাবাকে তাদের অভিবাসন মামলা চলা অবধি আটকে রাখার অধিকার দেশটির রয়েছে। গতকাল শুক্রবার আদালতে জমা দেওয়া কাগজপত্র থেকে এ কথা জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।
ফ্লোরেস চুক্তি নামে ১৯৯৭ সালের আদালতের এক ফয়সালা থেকে সাধারণভাবে মনে করা হয়ে থাকে, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে অবৈধ অভিবাসী শিশুদের ২০ দিন পর হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে।
গতকাল ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে জমা দেওয়া কাগজপত্রে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আইনজীবীরা বলেন, মঙ্গলবার অভিবাসনসংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় প্রাথমিক স্থগিতাদেশের কারণে তাদের এখন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের আটকে রাখা ছাড়া অন্য উপায় নেই।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’র নীতি অনুসারে মা-বাবাদের যত দিন প্রয়োজন আটক রাখার জন্য পরিবার-বিচ্ছিন্নকরণে সরকারের অধুনা নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে স্যান ডিয়েগোতে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন মামলাটি করেছে।
গত মে মাসে ওই নীতি বাস্তবায়নের পর থেকে পরিবারগুলোকে ধরার পর নিয়মিত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন আনুমানিক দুই হাজার শিশু বর্তমানে সরকারি তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
চলতি মাসে ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে ওই নীতি রদ করা হয়। এর পরপরই স্যান ডিয়েগোর স্থগিতাদেশে সরকারকে অবিলম্বে মা-বাবা ও তাঁদের ছেলেমেয়েকে বিচ্ছিন্ন করা বন্ধ ও ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই পরিবারগুলোর পুনরেকত্রীকরণ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
সরকার বলেছে, স্থগিতাদেশ মান্য করার জন্য তারা ‘পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করবে না, তবে অভিবাসন মামলা নিষ্পন্ন না হওয়া অবধি পরিবারগুলোকে আটকে রাখবে।
মামলা নিষ্পন্ন হতে কখনো কখনো কয়েক মাস বা বছরেরও বেশি সময় লাগে।