অ্যাথলেটিকসের অতীত ঐতিহ্য ফিরে আসবে

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন আবদুর রকিব
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন আবদুর রকিব

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু বলেছেন, অ্যাথলেটিকসের অতীত ঐতিহ্য ফিরে আসবেই। অ্যাথলেটিকসকে এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে। আশা করি সোনালি অতীত ফিরে পাবে অ্যাথলেটিকস। আমরা দেশের সেরা খেলোয়াড়দের পাশাপাশি প্রবাসী খেলোয়াড়দেরও মূল্যায়ন করতে চাই। যাতে দেশের সঙ্গে প্রবাসের সেতু বন্ধন রচিত হয়।

১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে প্রবাসের সাবেক ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আবদুর রকিব এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আবদুর রকিবের আমেরিকা সফর উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় অলিম্পিয়ান সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব আমেরিকার সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ স্পোর্টস ফাউন্ডেশন অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি ও স্পোর্টস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় মোস্তফা হোসেন মুকুল, সাঈদ উর রব, শাহান উদ্দিন চৌধুরী, বিমল চন্দ্র তরফদার, সৈয়দ এনায়েত আলী, এস এম ফেরদৌস, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাবেক ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। সভায় সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাবেক কৃতি খেলোয়াড় ও সংগঠক আবদুর রকিবকে আয়োজকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানে হয়। ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাঁকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সভায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে আবদুর রকিব বলেন, মাদক-জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খেলার বিকল্প নেই। খেলা বিমুখ অলস হতাশাগ্রস্ত যুব সমাজ মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে। তাই মাদক-জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খেলা বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

আবদুর রকিব আরও বলেন, অ্যাথলেটিকস এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কৃতি খেলোয়াড়। দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে অ্যাথলেটিকস। এক সময় অ্যাথলেটিকস বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিতি দিয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশ সে অবস্থান থেকে ছিটকে পড়ে। অ্যাথলেটিকসের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, অ্যাথলেটিকসে আমূল পরিবর্তন আনতে কাজ করছি। ইতিমধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। এ জন্য সবার পরামর্শ চাই। সবার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাই।

অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবদুর রকিব বলেন, এর মাধ্যমে দেশ ও সমাজের প্রতি আমার দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। নতুন প্রজন্মের প্রতিভা অন্বেষণসহ বেশ কিছু ক্রীড়াবান্ধব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আরও উন্নতির জন্য শুধু সরকার নয় প্রবাসীসহ বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অ্যাথলেটিকসকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি নির্বাচিত হওয়ার পর আবদুর রকিব ২ অক্টোবর ব্যক্তিগত সফরে নিউইয়র্ক আসেন।