অ্যাস্ট্রোজেনেকার অ্যান্টিবডি চিকিৎসায় আগ্রহ বাড়ছে

অ্যান্টিবডি চিকিৎসা উদ্ভাবনে কাজ করছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা
ছবি : রয়টার্স

ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রোজেনেকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অ্যান্টিবডি চিকিৎসা উদ্ভাবনে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাচ্ছে। এ চুক্তির আওতায় অ্যাস্ট্রোজেনেকার এক লাখ ডোজ ওষুধ পাবে দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে ধরনের অ্যান্টিবডি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, অ্যাস্ট্রোজেনেকা সে ধরনের ওষুধ তৈরি করবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনার চিকিৎসায় দ্রুতগতিতে টিকা ও ওষুধ তৈরিতে মার্কিন সরকার অপারেশন র‍্যাপ স্পিড নামের একটি কর্মসূচি নিয়েছে। অ্যাস্ট্রোজেনেকার অ্যান্টিবডি চিকিৎসা উদ্ভাবন ওই কর্মসূচির অধীন যুক্ত হয়েছে।

এ চুক্তি অনুযায়ী, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করবে অ্যাস্ট্রোজেনেকা, যা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারে। উচ্চঝুঁকিতে থাকা ৮০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ চিকিৎসা কাজে লাগবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রেজেনারন ফার্মাসিউটিক্যালের অ্যান্টিবডিথেরাপি দেওয়ার পর এ ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি আলোচনায় এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে এর সুবিধার কথাও বলেছেন।

শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পকে দেওয়া চিকিৎসার মতো কোভিড-১৯ রোগীদের অ্যান্টিবডি চিকিত্সায় ১০ লাখের বেশি ডোজ বিনা মূল্যে সরবরাহ করার আশা করছে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে অ্যান্টিবডি চিকিৎসাটির জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের আবেদন করেছে রেজেনেরন ও এলি লিলি।

অ্যাস্ট্রোজেনেকা বলছে, এ বছরের শেষ নাগাদ তারা এক লাখ ডোজ ওষুধ সরবরাহ শুরু করার পরিকল্পনা করছে। আগামী বছর পৃথক চুক্তিতে আরও ১০ লাখ ডোজ সরবরাহ করবে।

রেজেনেরন গত জুলাইয়ে অপারেশন র‍্যাপ স্পিডের আওতায় ৪৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে। তাদের অ্যান্টিবডি চিকিৎসা ‘আরইজেএন-কোভ২’ দিয়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা হবে।

অ্যাস্ট্রোজেনেকা তাদের ‘এজেডডি৭৪৪২’ চিকিৎসাপদ্ধতিটি দুটি গবেষণার মাধ্যমে পর্যালোচনা করছে। একটি পরীক্ষায় এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হবে। পাঁচ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হবে।

এটি এক বছর পর্যন্ত সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম কি না, তা দেখা হবে। পৃথক আরেকটি পরীক্ষা চালানো হবে ১ হাজার ১০০ জনের ওপর। এতে সংক্রমণ–পরবর্তী প্রতিরোধ ও সংক্রমণ–পূর্ব প্রতিরোধের বিষয়টি দেখা হবে।

আরও পড়ুন