আজ করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিচ্ছেন বাইডেন

জো বাইডেন ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন
ছবি: টুইটার

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ সোমবার করোনাভাইরাসের টিকার (কোভিড–১৯) দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। তিন সপ্তাহ আগে টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি। টিকার ব্যাপারে জনগণের আস্থা সৃষ্টির জন্য ওই সময় তাঁর টিকা নেওয়ার দৃশ্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। খবর এএফপি।

জো বাইডেন (৭৮) গত ২১ ডিসেম্বর ডেলাওয়ারের ক্রিস্টিয়ানা হাসপাতালে টিকার প্রথম ডোজ নেন। সে সময় জনগণকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছিলেন, টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।

বাইডেনের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর দপ্তর বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছে, নতুন প্রেসিডেন্ট এবারও গণমাধ্যমের সামনেই টিকা নেবেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ১৮ লাখের বেশি মানুষ। গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি বৃহৎ পরিসরে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে সরকার। তবে সংক্রমণে লাগাম টেনে ধরার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ। গত শুক্রবার ট্রাম্পের টিকাদান কর্মসূচির সমালোচনা করে বাইডেন একে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬৭ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। গত বছরের শেষ নাগাদ ২ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের। কিন্তু যত মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, তা ওই লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে নেই। যদিও দেশজুড়ে ২ কোটি ২১ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ফাইজার ও মডার্নার টিকার অনুমোদন দেয়। প্রথম ডোজের তিন সপ্তাহ পর ফাইজার ও চার সপ্তাহ পর মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারিতে ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন। দেশটিতে এক দিনে এত মানুষ সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ওই বিপুলসংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হওয়ার পাশাপাশি একই দিন মারা গেছেন ৩ হাজার ৬৭৬ জন।

করোনা–আক্রান্ত রোগীতে ভরে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোও। দেশটির কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার মানুষ।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ১৮ লাখের বেশি মানুষ। গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি বৃহৎ পরিসরে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে সরকার। তবে সংক্রমণে লাগাম টেনে ধরার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারিতে ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন। দেশটিতে এক দিনে এত মানুষ সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ওই বিপুলসংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হওয়ার পাশাপাশি একই দিন মারা গেছেন ৩ হাজার ৬৭৬ জন।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনের উৎসবের কয়েক দিন পর দেশটির শীর্ষ বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউসি সতর্ক করে বলেছিলেন, সংক্রমণের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সম্ভবত এখনো দেখা যায়নি। বিদায়ী বছরের শেষ ও নববর্ষের শুরুতে ছুটি কাটাতে লোকজনের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে করোনা পরিস্থিতি এক সংকটজনক পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে।