আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বনভোজন অনুষ্ঠানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী আরিফা পারভিন মৌসুমীকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
লং আইল্যান্ডের হ্যাকশেয়ার পার্কে আয়োজিত বনভোজনে কার্যকরী কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অভিনেত্রী মৌসুমীর হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি দর্পণ কবীর, সাবেক সভাপতি নাজমুল আহসান, সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর। এ সময় মৌসুমীর স্বামী অভিনেতা ওমর সানি, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বেলাল আহমেদ, কলাম লেখক আবু জাফর মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি মৌসুমীকে ক্লাবের সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
অভিনেত্রী মৌসুমী বলেন, ‘সম্মাননা পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। আমার সন্তুষ্টির বিষয়টি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এ সম্মান আমি বহন করে নিয়ে যাব বাংলাদেশে। প্রেসক্লাবের এ সম্মাননা আমার সফলতার পালকে একটি উজ্জ্বল সংযোজন। আজ আমার নতুন পরিচয় আমি আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের একজন সম্মানিত সদস্য যা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের।’
ওমর সানি বলেন, ‘আজ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব একজন যোগ্য মানুষকে, যোগ্য নায়িকাকে সম্মান জানিয়েছে। এতে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি। আমি সব সময় মনে করি, সাংবাদিকেরা আমার পরিবারের সদস্য বা আমি সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্য। এত দিন আমি সেটি মনে করলেও আজ প্রবাসের মাটিতে সেটির প্রমাণ নিয়ে দেশে ফিরছি আমরা দুজন।’
বিকেলে আজীবন সম্মাননা অনুষ্ঠান হলেও বনভোজনের উদ্বোধন হয় দুপুরে। বনভোজনের উদ্বোধন করেন ডেমোক্রেটিক দলের ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবু জাফর মাহমুদ ও উপস্থাপক খন্দকার ইসমাইল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্লাবের সভাপতি দর্পণ কবীর, সাবেক সভাপতি নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর। উদ্বোধনের পর বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ছিল নারী-পুরুষের পিলো পাসিং, পুরুষদের গোল বারে ফুটবল কিক, বাবা দিবস উপলক্ষে সন্তানদের বাবার ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, নারীদের সুঁই সুতা প্রতিযোগিতা। শেষে ছিল বাবা দিবস উপলক্ষে ক্লাবের পুরুষ সদস্যদের বাবাকে নিয়ে স্মৃতিকথা বলা।
প্রতিটি ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া। ছিল র্যাফল ড্রয়ের ব্যবস্থাও। এতে পুরস্কার (টিভি) জিতে নেন সাপ্তাহিক আজকাল এর বাণিজ্যিক প্রধান ও ক্লাবের কার্যকরী সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, পিলো পাসিংয়ে পুরস্কার (মাইক্রোওয়েভ ওভেন) পান মাইশা, গোলবারে ফুটবল কিক করে পুরস্কার (ল্যাপটপ) পান অরিন্দম সাহা নির্ঝর, বাবাকে নিয়ে স্মৃতিকথা বলায় পুরস্কার জিতে নেন (হাতঘড়ি) সময় টেলিভিশনের আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান সাকী, বাবার ছবি আঁকার জন্য পুরস্কার (আইপ্যাড) জিতে নেন হাসানুজ্জামান সাকীর মেয়ে সামরিন জামান এবং সুঁই সুতা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার (ফ্যান) পান সারোয়ারের স্ত্রী।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী পাপী মনা (জয়নাল আবেদিন), খন্দকার ইসমাইল ও শামসুন নাহার নিম্মি।
বনভোজনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা থেকে আসা দৈনিক ইত্তেফাকের বিনোদন সম্পাদক তানভীর তারেক, এস্টোরিয়া ডিজিটালের কর্ণধার নজরুল ইসলাম, শো-টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন-জেবিবিএর সভাপতি শাহনেওয়াজ, সংগীত শিল্পী রানো নেওয়াজ, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট হাসান জিলানী, আবদু রশীদ বাবু, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, সাপ্তাহিক আজকালের সহযোগী সম্পাদক হাসানুজ্জামান সাকী, নিউজ প্রেজেন্টার সাদিয়া খন্দকার, বক্সার সেলিম, অ্যাকটিভিস্ট গোলাম এন হায়দার মুকুট, খাবারবাড়ি রেস্টুরেন্টের অন্যতম কর্ণধার কামরুল ইসলাম কামরুল, সংগীত শিল্পী সজীব প্রমুখ।
ক্লাবের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সহসাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন, কোষাধ্যক্ষ তাপস কুমার সাহা, সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, শামসুল আলম ও এ হাই স্বপন। সদস্য মোহাম্মদ সাইদ, মনজুরুল হক, শামীম আল আমীন, শামসুল আলম লিটন, মশিউর রহমান লিটন, মশিউর রহমান, সীমা সুস্মিতা, শামসুন নাহার নিম্মি, পাপীয়া বেগম, আবদুল হামিদ, সারোয়ার প্রমুখ।
ক্লাবের বনভোজনে সহযোগিতা করেছেন রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হোসেন, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিম, কলাম লেখক আবু জাফর মাহমুদ, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আবদুর রশীদ বাবু, শো-টাইম মিউজিকে কর্ণধার আলমগীর খান আলম, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও টুকেয়ারের মাকসুদুল হক চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, ডিজিটাল ওয়ানের অন্যতম কর্ণধার বেলায়েত হোসেন, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট দুলাল বেহেদু, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট হাসান জিলানী, ট্রপিক্যাল হালাল পোলট্রির ওয়াহিদ টুপুন।