আসছে ‘পোকা’ রোবট

‘ট্রিবটস’ নামের খুদে রোবটের নকশা
ছবি: সিএনএনের সৌজন্য

বিশ্বজুড়ে এখন রোবটের জয়জয়কার। রেস্তোরাঁর ওয়েটারের কাজ থেকে শুরু করে কত কিছুই না করছে স্বয়ংক্রিয় এসব যন্ত্র। তবে এখন যেসব রোবট তৈরি হচ্ছে, সেসবের সিংহভাগই আকারে বড়। কোনো কোনোটি তো মানুষের চেয়েও বড়। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে। হাত–পাবিশিষ্ট খুদে আকৃতির রোবট তৈরির দিকে মনোযোগী হচ্ছেন নির্মাতারা। আর এভাবেই কীটপতঙ্গ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ রকম ছোট রোবট তৈরির ধারণা এসেছে তাঁদের মাথায়। এই ধারণা সত্যি হলে শিগগিরই হয়তো মশা–মাছির মতো উড়ুক্কু কিংবা লাফিয়ে চলা রোবট চলে আসবে।

‘পোকা রোবট’ নিয়ে গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এসব রোবট শুধু আকারেই ছোট হবে না, অনেক জটিল কাজও সুচারুভাবে করতে বেশ দক্ষ হবে। জীবন্ত মশা, মাছি বা অন্যান্য খুদে প্রাণীর মতো লাফালাফি, ওড়াউড়ি, শারীরিক কসরতেও পটু হবে এগুলো।

এ রকম রোবট তৈরিতে যে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন, তাঁদের অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জেনিপ তেমেল। খুদে রোবট তৈরি নিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবা অথবা সাধারণ অস্ত্রোপচারের জন্য এই খুদে রোবট খুবই কার্যকরী। এ ছাড়া স্থলমাইন পুঁতে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় মানুষের জীবন বাঁচাতে কিংবা অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে পারবে এই যন্ত্রগুলো। এ রকম একটি খুদে রোবট থাকলে ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়া লোকদের উদ্ধার অভিযান অনেক বেশি কার্যকর ও নিরাপদে চালানো সম্ভব হবে, যা মানুষ বা অন্য বড় রোবট দিয়ে করা প্রায় অসম্ভব।

মাছি বা মৌমাছি যেভাবে একত্রে যুক্ত হয়ে কাজ করে, খুদে রোবটগুলোও সেভাবে কাজ করতে সক্ষম। সৌরজগতের লোহিত গ্রহ মঙ্গলের মতো অচেনা বৈরী জায়গায় অনুসন্ধান চালাতেও এগুলো সহায়ক হবে।

সুইজারল্যান্ডের জুরিখের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি পোকা রোবট তৈরিতে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির রিকনফিগার‌েবল রোবটিক ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জেমি পাইক বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী যে খুদে রোবট তৈরি করতে আমরা সক্ষম হব।’ তিনি জানান, তাঁরা অনেক দূর এগিয়েও গেছেন।