এক বছরে সাগরে ফেলা হয় ২২ কোটি পাউন্ড প্লাস্টিক বর্জ্য

প্লাস্টিক বর্জ্য
ছবি: রয়টার্স

পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক বর্জ্য এমনিতেই ভয়াবহ। সমুদ্র দূষণের ক্ষেত্রে একক দূষক বস্তু হিসেবে এটি সবার ওপরে। এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে শুধু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন পণ্য পরিবহন ও এর মোড়কে ব্যবহৃত প্লাস্টিক দ্রব্য থেকেই ব্যাপক হারে সমুদ্র দূষণ হয়েছে। ওই বছর এ ধরনের সমুদ্র দূষণকারী প্লাস্টিক জঞ্জালের পরিমাণ ছিল ২২ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড।

এ সম্পর্কিত গবেষণাটি করেছে ওক ফাউন্ডেশন ও রকফেলার ব্রাদার্স ফান্ডসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি শীর্ষ জনহিতকর ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত গবেষণা সংস্থা ‘ওশানার’। সংস্থাটি পরিচালিত সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আর এই প্লাস্টিক দূষণে বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি আমাজনের ব্যবহৃত প্লাস্টিক দ্রব্যাদি বড় ভূমিকা রেখেছে।

বিশ্বব্যাপী নামি-দামি ই-কমার্স কোম্পানি ও প্যাকেজিং দ্রব্যাদি প্রস্তুতকারী কোম্পানি থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ওশানার জানায়, ২০১৯ সালে এই উৎস থেকে সমুদ্র দূষণকারী প্লাস্টিক জঞ্জালের মোট পরিমাণ ছিল ২২ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায় আমাজনের। আমাজনসহ বিশ্বের শত শত বড় ও মাঝারি ই-কমার্স কোম্পানির পণ্যের মোড়কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সরাসরি এসে মিশছে পানির সঙ্গে, যা একসময় খাল-বিল নদী ও নর্দমা বেয়ে সাগরে এসে পড়ছে।

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে নানা ধরনের আইনও করা হয়েছে। কিন্তু এখনো এই প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহারে রাশ টানা যায়নি। কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না।

বিশ্বের পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার। ওশানার বলছে, এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনে দিতে পারে আমাজনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর সচেতনতা। পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়ে তারা দায়বদ্ধ হলে এ সংকট থেকে ক্রমে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর এই দায়বদ্ধতা তৈরির জন্য পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।