কমলাকে নিয়ে যা পোস্ট দিলেন স্বামী

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও তাঁর স্বামী সেকেন্ড জেন্টেলম্যান ডগলাস এমহফ।ছবি: ইনস্টাগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী, যিনি এই দায়িত্ব নেবেন। কমলা হ্যারিস যেহেতু প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, তাই তাঁর স্বামী ডগলাস এমহফও হচ্ছেন প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যান’।

এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভিতে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দুই দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমহফ তাঁর স্ত্রী কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্ত্রীকে আলিঙ্গন করে আছেন এমন একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও তাঁর ১ কোটি ২০ লাখ ইনস্টাগ্রাম অনুসারীদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন স্বামীকে। কয়েক ঘণ্টা আগে ইনস্টাগ্রামে স্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন কমলা। তিনি লেখেন, ‘আমার জীবনের ভালোবাসা ডগলাস এমহফের সঙ্গে পরিচিত হন।’

কমলা হ্যারিস ও ডগলাস এমহফ।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময়ের একটি ছবিও শেয়ার করেন কমলা হ্যারিস। ওই ছবিতে তিনি সাদা পোশাকে ছিলেন। স্বামী এমহফ তাঁর পাশেই ছিলেন। এই ছবিতে মজা করে প্রতিক্রিয়া দেন সেকেন্ড জেন্টেলম্যান ডগলাস এমহফ। তিনি লেখেন, ‘নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাডাম তোমাকে ভালোবাসি।’

২০১৪ সালে কমলা হ্যারিস ও ডগলাস এমহফের বিয়ে হয়। এটি ছিল কমলা হ্যারিসের প্রথম বিয়ে। আর তাঁর স্বামী ডগলাস এমহফের দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁদের দুজনেরই বয়স ৫৬ বছর। বন্ধুদের এক আড্ডায় দুজনের দেখা হয়েছিল। ডগলাস এমহফ বলেছেন, প্রথম দেখাতেই কমলার প্রেমে পড়েন তিনি।

এমহফ একজন আইনজীবী। গণমাধ্যম, খেলা ও বিনোদন বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে তাঁর। স্ত্রী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারে এমহফকে ‘গোপন অস্ত্র’ বলে মনে করা হয়। প্রচারের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজের অনুসারীও তৈরি করে ফেলেন।

এমহফের জন্ম ব্রুকলিনে। তবে তিনি নিউ জার্সিতেই বেড়ে ওঠেন। এমহফ বলেছেন, ইহুদিদের সামার ক্যাম্পে তাঁর অনেক আনন্দের স্মৃতি রয়েছে। সেখানে তিনি অ্যাথলেটিক পুরস্কারও জিতেছিলেন।