কিউবাকে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার তালিকায় রাখল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
ছবি: রয়টার্স

‘রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসবাদ’ নামের তালিকায় আবারও কিউবাকে যুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই ঘোষণা দিয়েছে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মাত্র ৯ দিন আগে এমন ঘোষণা এল।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসবাদের’ তালিকায় কিউবার নাম যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই কমিউনিস্ট দেশ ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পলাতক আসামি ও কলম্বিয়ার বিদ্রোহী নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে মদদ দিচ্ছে কিউবা।
পম্পেও বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে নিরাপত্তা সহযোগিতা দিচ্ছে কিউবা। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসীদের বসবাস এবং বেড়ে ওঠার সুযোগ দিচ্ছে দেশটি। এ ধরনের কাজের সঙ্গে ভেনেজুয়েলাও জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পম্পেও বলেন, ‘এই পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থাকে অবজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে সহযোগিতার যে ধারা কাস্ত্রোর আমলে প্রচলিত ছিল, তা থেকে কিউবাকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে কিউবা। দেশটির নতুন এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক সুবিধাবাদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিউবা।
কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৫ সালে। ওই বছর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন সন্ত্রাসে মদদ দেওয়া রাষ্ট্রের তালিকা থেকে কিউবার নাম বাদ দেয়। কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল এটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের প্রচারের সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁর প্রশাসন প্রতিবেশী দেশ কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করবে।
এ প্রসঙ্গে বাইডেনের অন্তর্বর্তী দলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন যেসব পদক্ষেপ শেষ মুহূর্তে এসে নিচ্ছে, আমরা সেগুলো টুকে রাখছি। এসব সিদ্ধান্তের প্রতিটির পর্যালোচনা করছে অন্তর্বর্তী দল।’