চণ্ডীদাস থেকে বঙ্গবন্ধু

ঐতিহ্যগতভাবে বাঙালিরা উদার ও মানবিক—এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে ইদানীং আমাদের অনেকেরই একধরনের সংকোচ কাজ করে। এ রকম সংকোচের পেছনে অনেক যুক্তিসম্পন্ন কারণ আছে অবশ্যই। সাময়িকভাবে বিদ্যমান অমানবিকতার ঘনকুয়াশা, শুভশক্তিসম্পন্ন মানুষেকে বিভ্রান্ত করে তুলে, তাই নিজেদের ঐতিহ্যগতভাবে উদার ও মানবিক বলে অভিহিত করতে দ্বিধা হয় অনেকের। ইতিহাস বলে, অনাদিকাল থেকে পুরো মানবজাতির জন্য বাঙালির অন্তর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। চতুর্দশ শতাব্দীতে বাঙালি কবি চণ্ডীদাস যেভাবে উদাত্ত আহ্বান জানান, ‘শুন হে মানুষ ভাই, সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই’—আমাদের হীনমন্যতা নিয়ে আমরা যারা অষ্টপ্রহর আত্মসমালোচনা করি, চণ্ডীদাসের চতুর্দশ শতাব্দীর এই উচ্চারণ আমাদের কিছুটা হলেও নিজেদের মূল্যবোধ ও উদারতা নিয়ে গর্ববোধ করতে সহায়তা করে। চণ্ডীদাস থেকে নজরুল—এই পরম্পরায় বাঙালি মূল্যবোধ ও মননে আমরা কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করি না।
চণ্ডীদাসের ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয় কবি নজরুল আরও সহজ ও সুস্পষ্ট উচ্চারণ করে বলেন, ‘গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান। ‘সব সংকীর্ণতা, উঁচু, নিচু, জাত–পাত, শ্রেণি, ধর্মকে মাড়িয়ে গিয়ে মানুষের প্রতি ভালোবাসার নজরুলের এই যে সহজ ও আন্তরিক উচ্চারণ, বিশ্বসাহিত্যে বিরল বলা যায় নিঃসন্দেহে। চণ্ডীদাস, নজরুল, লালন, হাসন, রাধারমণ, রবীন্দ্রনাথ হয়ে আমাদের উজান ধল গ্রামের শাহ আবদুল করিম—বসন্ত বাতাসে যিনি হাওরের বিস্তীর্ণ ঢেউয়ের সর্বনাশী সৌন্দর্যে আকুল হয়ে মানবধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যান, মানুষে মানুষে মিলনের বাণী নিয়ে—তাদের সবার সঙ্গে সবার কি আশ্চর্য মিল! ভিন্ন সময়, ভিন্ন বাস্তবতার এই মানুষদের মানবিক ধর্ম এক, মানস জগৎ এক, দৃষ্টি ভঙ্গি এক। এদের চিন্তা চেতনার উত্তরাধিকারী আমরা। এই যে পিয়ারির ভালোবাসা, রাধার ভালোবাসা, বসন্ত বাতাসে ধেয়ে আসা ভালোবাসা, প্রাণের মানুষকে প্রাণে নিয়ে ভালোবাসা, প্রাণের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রাণ খুলে বলা, ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে, তাই হেরি তাই সকলখানে’। এসব ভালোবাসাময় মানুষগুলোই বাঙালি মানসের একেকজন প্রতিবিম্ব, প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবি কখনো কখনো কিছুটা বিবর্ণ, ঝাপসা হলেও এই ধারাই এগিয়ে যাচ্ছে হাজার বছর ধরে।

এই যে মনুষ্যত্বের ধারা, মানবিকতার ধারা, প্রগতির ধারা—এই ধারাকেই রাজনীতির মাঠে নানা ত্যাগ, অন্তরের নিবেদন, মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা দিয়ে একসময় আমাদের এই বঙ্গে বিভিন্নভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, পরবর্তীতে কমরেড মনি সিংহ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ প্রমুখেরা। আমাদের প্রবাদ প্রতিম এসব নেতার জীবনধারা, ত্যাগ, সৌজন্যবোধ আমাদের মুগ্ধ করে, বিস্মিত করে। কমরেড মনি সিংহ জমিদারি বিলিয়ে দিয়ে জমিদারদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান। সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ের জন্য টংক আন্দোলন করে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে জীবনকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। মাওলানা ভাসানীর জীবন আচরণ তো ছিল উপমহাদেশের মানুষের কাছে অনুকরণীয়। লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পরে কখনো নৌকায়, কখনো কুড়ে ঘরে জীবনযাপন করে অত্যন্ত উচ্চ-আদর্শের অনুশীলন করে গেছেন নিজের যাপিতজীবনে।
গণতন্ত্রের প্রবাদ পুরুষ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু মানুষের অধিকার আদায়ে আপসহীন লড়াই করে গেছেন। রাজনীতিতে মূল্যবোধ, ত্যাগ, গণমুখিতা আমরা লক্ষ্য করি তাদের জীবন ও কর্মে। হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী এক সময় ভিন্ন ভিন্ন দল করেছেন। তাদের আদর্শ ও সময়ের পরিক্রমায় ভিন্ন হয়ে যায়। তাঁদের একের প্রতি অন্যের শ্রদ্ধা ও বিনয় কখনও কমে যেতে দেখা যায় না। স্বাধীনতা আন্দোলনে মওলানা ভাসানী, কমরেড মনিসিংহ, অধ্যাপক মোজাফফর আহম্মদকে আমরা দেখি আওয়ামী লীগের সঙ্গে এসে পরম আন্তরিকতায় দাঁড়িয়ে যেতে। ক্ষমতার লোভ, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে তাদের কোন পদক্ষেপের কথা শোনা যেত না। পরস্পরের দুর্দিনে পরস্পর পরম মমতায় শক্ত অবস্থানে দাঁড়ানোর অজস্র উদাহরণ আমরা দেখতে পাই।

হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দীকে সামনে রেখে মানুষের ভালোবাসার প্রতি দায়বদ্ধ থেকে, উদার, অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক গুনে পরিপূর্ণ হয়ে আর একজন নেতাকে নজরুলের মতো ভালোবাসার বাঁধ ভেঙে, ঝড়ের গতিতে এগিয়ে আসতে দেখেছে ইতিহাস। ১৯৩৮ সালে যিনি অসীম সাহসে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে রাজনীতির বন্ধুর পথে পথ চলা শুরু করেন, তিনি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। একদিকে নেতাজি সুভাস বসুর তেজস্বিতা ও গান্ধীজির অহিংস বাণীকে ধারণ করে হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দীর সূচিত পথে প্রথমে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়, সে আন্দোলনে তাকে অগ্রসর ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমরা দেখতে পাই।
প্রখর সূর্যের মতো তেজদীপ্ত ব্যক্তিত্ব, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান আন্দোলনে প্রথম সারির ছাত্রনেতায় পরিণত করে। পাকিস্তান লাভের এক বছরের মধ্যে যেসব দুর-দৃষ্টিসম্পন্ন নেতার মোহভঙ্গ হয়, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান সভায় বাংলাকে পাস কাটিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অধিকাংশ মুসলিম লীগ সদস্য একমত পোষণ করেন, রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে মুসলিম লীগের এ রকম অবস্থানকে যে সব বাঙালি নেতারা ‘অশনিসংকেত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তাদের অন্যতম। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাকে চিনতে ভুল করেনি। পাকিস্তান সৃষ্টির সাত মাস পর ভাষার দাবিতে ডাকা ধর্মঘট চলাকালে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ তাঁকে কারাগারে যেতে হয়।

ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণকর্মী ও নেতা হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে তিনি ক্রমাগত লড়ে যেতে থাকেন। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ সাল থেকে সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলনে অকুতোভয় ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা হিসেবে ইতিহাস তাকে গণমানুষের আন্তরিক সমর্থনে অবধারিতভাবে নেতৃত্বের কেন্দ্রে নিয়ে আসে। ১৯৬৬ সালে স্বাধিকার আন্দোলন, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের পক্ষে যখন ছয় দফা ঘোষিত হয়, এ দেশের মানুষ যেন শোষণ মুক্তির, স্বাধিকারের এক স্বপ্নময় পথের সন্ধান খুঁজে পায়। প্রাণের দাবি হিসেবে ৬ দফা হয়ে ওঠে এ দেশের মানুষের মুক্তি সনদ। ৬ দফার পথ বেয়ে আসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, শেখ মুজিবুর রহমান আবারও হন গ্রেপ্তার। ১৯৬৯ সালে কারা অন্তরীণ গণমানুষের প্রাণের নেতা শেখ মুজিবকে মুক্ত করতে বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম এক গণ-অভ্যুত্থান হয়। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে সব শ্রেণিপেশার মানুষের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ছিল। সেই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান শেখ মুজিবুর রহমানকে সাড়ে সাত কোটি মানুষের একক নেতা হিসেবে দেশে–বিদেশে পরিচিত করে তুলে। গণ–অভ্যুত্থানের পর ইতিহাসের বরপুত্রকে এ দেশের মানুষ ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে, বাংলার মানুষ ও মাটিকে ভালোবাসা এই মানুষটি তখন প্রকৃত অর্থে এ দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের নয়নের মনি হয়ে উঠেছিলেন। ঊনসত্তরের পথ ধরে সত্তরের নির্বাচনে অনিবার্যভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় আসে। সত্তরের নির্বাচন ও তারপর শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এ দেশের সব শ্রেণির মানুষের কাছে সমার্থক হয়ে ওঠে। তাঁর হাত ধরে, তাঁর নাম উচ্চারণ করে, তাঁর প্রেরণায় জীবনবাজি রেখে বাঙালিরা দুই শ বছর পর একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ অর্জন করতে সক্ষম হয়।

ওই যে ভালোবাসায় ভুবন জয় করার বাঙালির ঐতিহ্য, যে ঐতিহ্য বাঙালি মানসের মূল পরিচয়, সেই ঐতিহ্যের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু এই ধারার বাহক হয়েছেন, বাংলার মাটি, জল, হাওয়ার স্পর্শে বাংলার মানুষের হৃদয়ের গহিনে প্রবেশ করে। পাকিস্তানের ২৪ বছরের শাসনকালে তিনি অর্ধেকের বেশি সময় জেলে নির্যাতিত হয়েছেন। যতটুকু সময় তিনি জেলের বাইরে ছিলেন, তিনি বিরামহীন দেশের এ–প্রান্ত থেকে ও–প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মানুষের ভালোবাসা তাকে মানবমুক্তির আন্দোলনে দীপ্ত সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে অকাতরে। গোপালগঞ্জের গহিন গ্রাম টুঙ্গিপাড়া থেকে উঠে আসা এই মানুষটির পা আমৃত্যু মাটিতেই ছিল। মাটির মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের প্রতি যে তিনি অবিশ্বস্ত হতে পারবেন না, সেই প্রতিজ্ঞা নেন।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমরা দেখতে পাই, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে তিনি রাস্তায় অপেক্ষমাণ একজন দরিদ্র বৃদ্ধা নারীর বাড়িতে যান। যে মহিলা তার জমানো অর্থ বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী তহবিলে দান করতে চান। তাঁর ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের এক মহান শপথ গ্রহণ করেন সেই নারীর জীর্ণ কুটিরের মধ্যে। বঙ্গবন্ধুর জবানিতে আমরা যখন এ কাহিনি পড়ি, বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই, একজন নেতা কতটুকু গণমুখী হলে জনগণের এ রকম অকৃত্রিম ভালোবাসা পেতে পারেন ও ভালোবাসা বিলিয়েও দিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই রাজনীতির কবি বা পোয়েট অব পলিটিকস বলে থাকেন। বঙ্গবন্ধু অবশ্যই রাজনীতির কবি, বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী বাঙালি মানসের কবি। চণ্ডীদাস থেকে, হাসন, লালন হয়ে রবীন্দ্র, নজরুল যে ধারা বহন করেছেন, সে ধারাকে প্রবলভাবে ধারণ করেন আমাদের রাজনীতির এই কবি। একাত্তরের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তাই তাঁর মুখ দিয়েই আবৃত হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একটি কবিতা, যে কবিতার বর্ণনা নির্মলেন্দু গুন অপূর্বভাবে উপস্থাপনা করেছেন—

রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতা খানি
(স্বাধীনতা-এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো; নির্মলেন্দু গুণ)

আবহমানকাল থেকে নরম কাঁদা মাটির সুবর্ণ এই দেশে যে মূল্যবোধ, যে আদর্শ মানুষ ধারণ করে আছে, সেই মূল্যবোধ, সেই আদর্শ কখনো কখনো অপসংস্কৃতি, অপরাজনীতির কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়, তা কিন্তু আমাদের বাঙালি মানসের মূল ধারা নয়। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে, আমদের মূলধারার প্রতি, আমদের লালন করতে হবে আমাদের মানবিকতার, মানবমুক্তির এই উজ্জ্বল ধারাকে। যে ধারা অনাদিকাল থেকে বাঙালি মানসে বহমান, যে ধারার আলোকবর্তিকা সগৌরবে বহন করে আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। যে ধারার মধ্যে আছে লক্ষ মানুষের ত্যাগ, নিবেদন, ভালোবাসা। অনাদিকাল থেকে তিলে তিলে গড়ে ওঠা এই ধারাকে শক্তিশালী করা হলো আমাদের এগিয়ে যাওয়া, এর ব্যত্যয় হলো ইতিহাসের চাকাকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা। বাঙালিরা হাজার বছর ধরে প্রগতির চাকাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়েই আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে পা রাখব, এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি, দ্বিধাহীনভাবে।