‘চিল ডোনাল্ড, চিল’: গ্রেটা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি গ্রেটা থুনবার্গের ক্ষুব্ধ দৃষ্টি।রয়টার্স ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবার একহাত নিলেন সুইডেনের পরিবেশবাদীকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। কয়েক বছর আগে তাঁকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্পের ছোড়া ইটকে পাটকেল হিসেবে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

গার্ডিয়ানের খবরে জানা যায়, ট্রাম্পের ভোট চুরির অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন গ্রেটা থুনবার্গ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে টুইটে ট্রাম্প ভোট চুরির অভিযোগ তোলেন। পেনসিলভানিয়া ও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে ভোটে এগিয়ে থাকার ব্যবধান কমে আসায় টুইট করেন ট্রাম্প। এ নিয়ে বড় হাতের অক্ষরে লেখা তাঁর টুইটটি ছিল ‘স্টপ দ্য কাউন্ট’।

এর জবাব দিয়েছেন, পরিবেশবাদীকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। টুইটে তিনি বলেন, ‘এত হাস্যকর। ডোনাল্ডকে খ্যাপামি কমাতে হবে। এরপর বন্ধুর সঙ্গে ভালো কোনো পুরোনো দিনের সিনেমা দেখতে হবে। চিল ডোনাল্ড, চিল!

টাইম সাময়িকীতে বর্ষসেরা হিসেবে গ্রেটা থুনবার্গের নাম আসার পর ট্রাম্পও একই ধরনের টুইট করেন। ব্যাপারটি হাস্যকর বলেন ট্রাম্প। তিনি টুইটে বলেন, ‘চিল গ্রেটা, চিল।’

এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১৭ বছরের গ্রেটা থুনবার্গকে রাগ কমাতে পরামর্শ দেন ট্রাম্প। বন্ধুর সঙ্গে পুরোনো কোনো সিনেমা দেখতে যেতেও বলেন।
ট্রাম্পের এসব অপমানের এবার সুদে–আসলে জবাব দিলেন গ্রেটা।
গ্রেটা থুনবার্গের টুইটে দুই ঘণ্টার মধ্যে ৪ লাখ ৫২ হাজারেরও বেশি লাইক পড়ে। ট্রাম্পের টুইটের লাইকের দ্বিগুণ ছিল এটি।

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে গ্রেটা থুনবার্গ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই তিক্ত। ট্রাম্প বরাবরই জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে খাটো করে দেখেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনকে সমস্যা বলে স্বীকারই করেন না ট্রাম্প। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে ট্রাম্প জলবায়ু সম্মেলন এড়িয়ে যান। এ সময় গ্রেটা বিশ্বনেতাদের বলেন, তাঁরা তাঁকে ব্যর্থ করছেন। তবে গ্রেটার ইঙ্গিত ছিল ট্রাম্পের দিকে।

স্থানীয় সময় গত বুধবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা আগেই দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর আদেশ কার্যকরের দিনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি এক টুইট করে বলেছেন, ‘আজ ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ঠিক ৭৭ দিন পর বাইডেন প্রশাসন তাতে যুক্ত হবে।’
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছেছেন। নেভাদা বা জর্জিয়ায় জিতলেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে যাবেন। বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ফলাফলে জো বাইডেনের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ২৬৪ আর ট্রাম্পের ২১৪।

মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রয়োজন ২৭০টি। পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও আলাস্কায় এখনো ফলাফল স্পষ্ট হয়নি।