চীনের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর

মাইক্রোসফটের লোগো

চীনের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো। গতকাল সোমবার এই অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

চীনের বিরুদ্ধে যখন এই সাইবার হামলার অভিযোগ আনা হচ্ছে তখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি বড় আকারের জোট গঠনের চেষ্টা নজরে এসেছে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা সবাই চীনের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপ আমাদের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির।’

এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে এই হামলা চালানো হয়েছিল। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভার লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিশ্বজুড়ে ৩০ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান।

যদিও চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এমনকি যেকোনো ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে দেশটি। যদিও চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে দেশগুলো যেভাবে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে তারা। পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় পরিস্থিতি গুরুতর।
চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে নানা তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিচার বিভাগ চীনের চার নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে তিনজন চীনের কর্মকর্তা এবং একজন ভাড়াটে হ্যাকার। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল।

অবশ্য ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনগিউ বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন।