জাতিসংঘে আজ বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের মানুষের আস্থা আর বিশ্বস্ততার প্রতীক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তিন মেয়াদের আগে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি চতুর্থ মেয়াদে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অন্যবারের মতো এবারও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে তিনি ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিবাদন জানানো হয়। আজ জাতিসংঘে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা রং বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে সমবেত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ছিল বিপুলসংখ্যক নারীর উপস্থিতি। আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে নেতা-কর্মীরা আসেন দৃষ্টিনন্দন ব্যানার-পোস্টার নিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানানোর এ প্রস্তুতি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সার্বিক কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধানে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকায় মিটিং, মিছিল, সমাবেশ, পথসভা, টাউন হল মিটিং করা হয়। নেতা-কর্মীদের পদভারে প্রায় প্রতি রাতই সরগরম ছিল জ্যাকসন হাইটেসর ডাইভার্সিটি প্লাজাসহ নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলো। অবশেষে ২২ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিপুল উৎসাহ ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী চলে যান নির্ধারিত হোটেলে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন আজ। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সমবেত হবেন প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে। অবশ্য জাতিসংঘের বিভিন্ন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকেই বক্তব্য রাখছেন, করছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি বৈঠক। এরই মধ্যে তিনি বাংলাদেশের জন্য নিয়ে এসেছেন আরেকটি বৈশ্বিক সম্মাননা। বাংলাদেশে সফল টীকাদান কর্মসূচির জন্য জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক অধিদপ্তর থেকে তাঁকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পদক দেওয়া হয়। সফরসূচিতে রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকও।

এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলবেন বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করবেন তিনি। একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে রাজি করাতে চাপ প্রয়োগের আহ্বানও জানাবেন তিনি। জাতিসংঘে তিনি তাঁর বাংলা ভাষণে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনাবেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে।