ট্রাম্পের অভিবাসননীতি চালুর পথে বাইডেন

সম্প্রতি দেশটির ফেডারেল আদালতের বিচারক রায় দিয়েছিলেন যে বাইডেন ট্রাম্পের অভিবাসননীতি প্রত্যাহারে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেননি।

জো বাইডেন

ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত একটি অভিবাসন আইন আবার চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যে আইনটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন শুনানির জন্য মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের এক রায়ের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

রিপাবলিকান পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা বেশ কিছু কঠোর অভিবাসন নীতিমালা পাল্টাতে প্রথম বছর বেশ চাপ সামলাতে হচ্ছে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনকে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে এখনো অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতের বিচারক রায় দিয়েছিলেন, বাইডেন ট্রাম্পের অভিবাসননীতি প্রত্যাহারে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেননি। ওই বিচারক আগস্টে নীতিটি পুনঃস্থাপনের আদেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাইগ্রেন্ট প্রটেকশন প্রোটকলস (এমপিপি) আবার চালু করার আগে মেক্সিকো চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, অভিবাসীদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে মেক্সিকোতে নিপীড়ন বা নির্যাতনের ভয় আছে কি না এবং আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ আছে কি না, তা–ও জিজ্ঞাসা করা হবে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ট্রাম্পের আমলে করা এই প্রকল্পটি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি আশ্রয়প্রার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ম্যাথিউ রেনল্ডস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নীতিতে ঘোষিত সমন্বয়গুলো মৌলিক উদ্বেগগুলো মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট নয়।’

ব্যাপক অভিবাসনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থায় কঠোর নিয়মনীতি চালু করতে গিয়ে ট্রাম্প বেপরোয়া সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কখনো নির্বাহী আদেশ দিয়ে, কখনো অভিবাসন আইনের কঠোর বিধানের মাধ্যমে পুরো ব্যবস্থাকে বৈরী করে তোলেন তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন অভিবাসন নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হন। কিন্তু এর আগে তাঁকে ট্রাম্পের সময়ের বৈরী অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লড়তে হচ্ছে। অভিবাসনের নানা বিষয়ে যেখানেই তিনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন, তাঁকে ট্রাম্পের সময়ে পাল্টে দেওয়া নিয়মনীতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সমন্বিত কোনো আইন প্রণয়নের আগে অভিবাসন প্রক্রিয়ার চলমান বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বাইডেন।