ট্রাম্পের চার বছরে আলোচিত যত মিথ্যা

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার চার বছরে অনেক মিথ্যা বলেছেন। তাঁর বলা মিথ্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি এক বিশ্লেষণে তুলেছেন সিএনএনের ওয়াশিংটন ব্যুরোর সাংবাদিক ড্যানিয়েল ডেল।

বিশ্লেষণের শুরুতেই ড্যানিয়েল ডেল বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মিথ্যা বাছাইয়ের চেষ্টা শহরের আস্তাকুঁড় থেকে ময়লার সবচেয়ে বাজে টুকরো বাছাইয়ের চেষ্টার মতোই। তবে এই নোংরা কাজটি করার যোগ্যতা তাঁর আছে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের অভিষেকের দিন থেকে শুরু করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের প্রতিটি কথার সত্যতা যাচাই (ফ্যাক্ট চেক) করেছেন ড্যানিয়েল ডেল।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর ট্রাম্পের দৈনিক মিথ্যা বলার পরিমাণ এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তার হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর ট্রাম্পের মিথ্যা বলার হার আরও বেড়ে যায়।

সাংবাদিক ড্যানিয়েল ডেলের বাছাই করা ট্রাম্পের উল্লেখযোগ্য কিছু মিথ্যা তুলে ধরা হলো।

ট্রাম্প মিথ্যা দিয়ে তাঁর প্রেসিডেন্সি শুরু করেন। আবহাওয়া নিয়ে শুরুর মিথ্যাটা বলেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় বৃষ্টি হয়েছিল। পরদিন তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে তাঁর কথা বলা ও তারপর ভেতরে চলে যাওয়ার আগে বৃষ্টি হয়নি। একই সপ্তাহে তিনি তাঁর অভিষেকে জনতার উপস্থিতি নিয়েও মিথ্যা বলেন।

ট্রাম্পের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিথ্যা হলো ‘করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে’ বলে দাবি করা। অথচ এই ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এক বছরে ৩ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

২০১৯ সালে হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমর জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সমর্থক। এটি ছিল ট্রাম্পের একটি কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা।

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ নিয়ে ট্রাম্প সবচেয়ে বিরক্তিকর ও একের পর এক মিথ্যা বলেছেন। তিনি এই ঘাটতির পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু এই তথ্য সত্য ছিল না।

পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। এটি ছিল ট্রাম্পের একটি বড় মিথ্যা। এ ধরনের মিথ্যা বলার অভ্যাস তাঁর আগে থেকেই আছে।

ট্রাম্পের সবচেয়ে নির্লজ্জ প্রচারণামূলক মিথ্যা হলো জো বাইডেন নির্বাচিত হলে তিনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা লোকজনের সুরক্ষাগুলো ধ্বংস করে দেবেন।

ট্রাম্পের সবচেয়ে হতাশাজনক মিথ্যা হলো তিনি ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাঁর এই মিথ্যা অনেকে বিশ্বাসও করেছেন। অথচ তিনি নির্বাচনে সুস্পষ্টভাবে পরাজিত হয়েছেন।