ট্রাম্পের জামাইয়ের দূতিয়ালিতেই কি এসব হচ্ছে

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জ্যারেড কুশনার
ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার শেষ দিকে এসে একাধিক মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ক্ষেত্রে দূতিয়ালি করেছেন ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার।

ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কার স্বামী কুশনার। ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন পারিবারিক বন্ধু কুশনার।

ট্রাম্প প্রশাসনের তথাকথিত ও একপেশে ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা’র অন্যতম কুশীলব এই কুশনার। তা ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি লবির বড় সমর্থকও।

কুশনার তাঁর স্ত্রীর কারণে বহুল পরিচিত। এমনকি ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর ভূমিকা নিয়েও আছে নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ। তবে ক্ষমতার শেষভাগে এসে ইসরায়েলের সঙ্গে একাধিক মুসলিম রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা রেখে ট্রাম্প শিবিরে প্রশংসিত হচ্ছেন কুশনার।

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা আসে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে আরব লিগের সদস্য মরক্কো।

মরক্কোর আগে সম্প্রতি একই পথে হাঁটে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। মিসর ও জর্ডানও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে।

যেসব মুসলিম দেশ সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বা রাজি হয়েছে, তারা সবাই ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে ‘বিশেষ সুবিধা’ পেয়েছে। যেমন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিনিময়ে বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের ভূখণ্ডের ওপর মরক্কোর সার্বভৌমত্বের দাবির প্রতি স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতি মরক্কোর জন্য একটা বড় অর্জন। আবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করার বিনিময়ে সুদানকে সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার শর্ত দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বৃহস্পতিবার মরক্কোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ঘোষণাকালে কুশনার বলেন, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন। পুরোনো চিন্তাভাবনা ও স্থবির প্রক্রিয়ার কারণে এত দিন ধরে আরব-ইসরায়েল সংঘাত জিইয়ে ছিল।

মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতির বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে একমত যে সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক স্থাপনে রাজি করাতে কুশনারের ভূমিকা রয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যপ্রাচ্য দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডেনিস রস। তিনি বলেন, কুশনারের কর্তৃত্ব আছে। তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারেও যথেষ্ট স্মার্ট। যা হয়েছে, তার জন্য তিনি কিছুটা কৃতিত্বের স্পষ্ট দাবিদার।