ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে টিকটক

যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়া এড়াতে আইনে পথে হেঁটেছে ইন্টারনেটে ভিডিও প্রচার বা প্রকাশের জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক। চীনা প্রতিষ্ঠানটি শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে।

ব্লুমবার্গ নিউজের শনিবারের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালতে অভিযোগটি দায়ের করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর শুক্রবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে চীনা অ্যাপ টিকটক ও উইচ্যাট ডাউনলোডের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আদালতে দায়ের করা বাইটড্যান্সের অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর কর্তৃত্বের সীমা ছাড়িয়ে টিকটক নিষিদ্ধ করার নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘অস্বাভাবিক ও অসাধারণ হুমকি’ থামানো নয়, বরং নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা করেছেন তিনি।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁর ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনও মনে করেন, টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘প্রকৃত হুমকি’। শুক্রবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনা কোম্পানি টিকটকের কাছে ১০ কোটির বেশি তরুণ আমেরিকান নাগরিকের তথ্য রয়েছে। আমি মনে করি, এটা আসলেই একটা প্রকৃত হুমকি।’ নির্বাচিত হলে টিকটককে ঘিরে নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টি পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ওই সিদ্ধান্তকে ‘ভয়ভীতি প্রদান’ হিসেবে দেখছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে হুমকি দিয়ে বলেছে, তারা পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের ভয়ভীতি প্রদানের পথ পরিহার করবে, ভুল পদক্ষেপ থেকে সরে আসবে এবং ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান মেনে চলবে, চীন সেই আহ্বান জানাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের মতো করে চললে, চীন তার বৈধ অধিকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর স্বার্থগুলো অটলভাবে সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।’

এ ছাড়া চীন শনিবার নতুন এক নীতি চালু করেছে, যাকে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েসহ বিভিন্ন চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে দেখছে অনেকে। নতুন নীতির ফলে চীনের কর্তৃপক্ষ সেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে, যাদের দেশটি তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে মনে করে।

আরও পড়ুন