নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে হাজির ট্রাম্প

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার ফিরে এসেছেন অনলাইন দুনিয়ায়। নতুন এক ওয়েবসাইট নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, নিজেদের ব্যক্তিগত অফিসের কাজ করতে নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এসেছেন ডোনাল্ড ও মেলানিয়া ট্রাম্প। ওয়েবসাইটটির নাম হলো ৪৫অফিস ডটকম। গত জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় নিষিদ্ধ করা হয়।

নতুন ওয়েবসাইটটি সাবেক প্রেসিডেন্টের দীর্ঘ একটি জীবনী দিয়ে শুরু হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প ইতিহাসের সবচেয়ে অসাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তিনি রাজনৈতিক যুগের পরিসমাপ্তি ঘটান, ওয়াশিংটনে প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থাকে পরাজিত করেন এবং সত্যিকারের বহিরাগত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।’

নতুন এই ওয়েবসাইটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশি কিছু ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার ছবি, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও এক শিশুকে চুমু খাওয়ার ছবি। এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পের নাচের কিছু ছবিও ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এ-ও বলা হয়েছে যে চীন থেকে করোনাভাইরাস মহামারি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগের প্রায় সব মাধ্যমে নিষিদ্ধ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলছেন বলে কিছুদিন আগে খবর বেরিয়েছিল। তখন জানা গিয়েছিল, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসছে। এ তথ্য ফক্স নিউজকে জানিয়েছিলেন ট্রাম্পের ২০২০ সালের নির্বাচনী মুখপাত্র জেসন মিলার। টুইটার, ফেসবুকের চেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ট্রাম্প গড়ে তুলবেন বলে আশা করছেন তাঁর অনুসারীরা।

ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প ব্যাপকভাবে টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে থাকেন। হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনের মতো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বাইরে টুইটার-ফেসবুক হয়ে ওঠে ট্রাম্পের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প তাঁর বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কথাবার্তা প্রচার করছিলেন বলে অভিযোগ আছে। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর টুইটার ও ফেসবুক ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেওয়া হয়।

গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে অবস্থান করছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবার প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। গত নির্বাচনে তাঁর পরাজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে এখনো মনে করেন ট্রাম্প ও তাঁর অনুসারীরা।