নাশপাতিতে মাতাল কাঠবিড়ালি

নাশপাতি খেয়ে মাতাল অবস্থায় কাঠবিড়ালি।
ছবি: সংগৃহীত

অনেক দিন ফ্রিজে থাকায় নাশপাতিগুলোতে পচন ধরেছিল। গৃহকর্ত্রী সেগুলো বের করে একটি পাত্রে নিয়ে রেখেছিলেন বাড়ির উঠানে। উদ্দেশ্য ছিল বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করা কাঠবিড়ালি যাতে সেগুলো খেয়ে সাবাড় করে। সেটাই হয়েছে, কাঠবিড়ালি নাশপাতি খেয়েছে। কিন্তু এতে বিপত্তিও ঘটেছে। পচা নাশপাতি খেয়ে মাতাল হয়ে পড়ে একটি কাঠবিড়ালি। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, যাঁর বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে, তাঁর নাম ক্যাটি মরলোক। ক্যাটি ওই ঘটনার বর্ণনা দেন মিনেসোটার রাজধানী মিনিয়াপোলিসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স-৯কে। সেখানে তিনি বলেন, নাশপাতিগুলো রাখার পর একটি কাঠবিড়ালি এসে প্রথমে খানিকটা খেয়ে দৌড়ে পালায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই পুরুষ কাঠবিড়ালিটি আবার ফিরে আসে। কিন্তু ফিরে আসার পর সে পুরোপুরি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেন, পচা ফলের কারণেই এটা হয়েছে।

নাশপাতি খেয়ে কাঠবিড়ালির মাতাল হওয়ার একটি ভিডিও করেন ক্যাটি মরলোক। ভিডিওতে দেখা গেছে, নাশপাতি খাওয়ার পর কাঠবিড়ালির শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। পা একেবারে নিশ্চল হয়ে পড়েছে। মাথা একদিকে ঢলে পড়ছে। কিন্তু পরক্ষণেই সে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে।

ক্যাটি বলেন, ‘ওই নাশপাতিগুলো খুবই পুরোনো ছিল। আমার ধারণা, সেগুলো গাঁজনের মাধ্যমে মদে পরিণত হয়েছিল। আর সেটা খাওয়ার পরই মাতাল হয়ে পড়ে প্রাণীটি। কিন্তু এটা করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। এমনটা হবে তা আমি জানতাম না। তাই বিষয়টি বোঝার পর ফলগুলো সেখান থেকে সরিয়ে নিই।’

কাঠবিড়ালিটি ক্যাটির বাড়ির উঠোনে প্রায়ই আসত। সেই কারণে তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ‘লিল রেড’। প্রাণীটি মাতাল হয়ে পড়ার বিষয়টি ক্যাটিকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো লিলকে আর জীবিত পাওয়া যাবে না। কিন্তু পরদিন সকালেই প্রাণীটিকে সুস্থ অবস্থায় দেখে শঙ্কামুক্ত হন তিনি।