নিউইয়র্কে গত বছর হত্যার শিকার ৫০০

নিউইয়র্ক নগরে গত বছর প্রায় ৫০০ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যা বেশি। ২০১৯ সালে নগরে অপরাধজনিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল ৩১৯টি। আর গত বছর এর চেয়ে ১৮১টি বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নগরের অপরাধ চিত্রে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তবে নগরের হত্যাকাণ্ডের এ পরিসংখ্যান ১৯৯০ সালে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাকে অতিক্রম করেনি। তবে অপরাধের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে নিউইয়র্ক নগরে অপরাধ অনেক বেড়েছে। ১৯৯০ সালে নিউইয়র্কে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল ২ হাজার ২০০টি। ২০২০ সালে শিকাগোতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৭৭১টি, যা ২০১৯ সালে ছিল প্রায় ৫০০ এবং ১৯৯২ সালে ছিল ৯৩৯টি।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে রেকর্ডসংখ্যক ২১ হাজার ৫০০ জন খুন হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এফবিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের খুনের ঘটনা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুধু খুন নয়, যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র কেনা-বেচার পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে খুনের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে এফবিআই।

এফবিআই আরও জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে খুনের সংখ্যা বাড়লেও তা ১৯৮০-৯০ সালের খুনের সংখ্যার ধারে কাছে নেই। সে সময় সংখ্যাটি কয়েকগুণ বেশি ছিল।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদন বলছে, ৭৭ শতাংশ মানুষ খুন হয়েছে বন্দুকের গুলিতে। ২০১৯ সালে যা ৭৪ শতাংশ ছিল। সহিংস অপরাধের হার ২০১৯ সালের চেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাংশে অপরাধের প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। টেক্সাসে অস্ত্র বিক্রির হার সবচেয়ে বেশি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাকালে মানুষের হতাশা বেড়েছে। সে কারণেই অস্ত্র কেনা-বেচার পরিমাণ একদিকে যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে সহিংসতার হার। কিন্তু কীভাবে এ প্রবণতাকে বদলানো সম্ভব, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট অভিমতে পৌঁছাতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।

ভোটের প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, অস্ত্র বিক্রি নিয়ে তাঁর প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেবে।

তবে ক্ষমতায় আসার পর এখনো সে বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনকে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এফবিআইয়ের প্রতিবেদন সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।