নীরবতা ভেঙে ট্রাম্প বললেন সময় সব বলে দেবে

ডোনাল্ড ট্রাম্পছবি: রয়টার্স

প্রায় এক সপ্তাহ পর নীরবতা ভাঙলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার করোনাভাইরাসের টিকা অনুমোদন বিষয়ে তিনি রোজ গার্ডেনে বক্তব্য দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কে জানে কোন প্রশাসন কাজ করবে। আমার ধারণা সময় সব বলে দেবে।’ এএফপির খবরে এ তথ্য জানা যায়।

ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তিনি কখনোই আবার লকডাউন দেবেন না।

জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই ট্রাম্প এ বক্তব্য দেন। বক্তব্যের পর তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি।

কে জানে কোন প্রশাসন কাজ করবে। আমার ধারণা সময় সব বলে দেবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প

জো বাইডেন এ পর্যন্ত ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেক্টোরাল ভোট।

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। ট্রাম্প নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। তবে অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

শুক্রবার ট্রাম্প টুইটে তাঁর অভিযোগে সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। টুইটে তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় আজ শনিবার সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, তিনি এই সমাবেশকে থামিয়ে তাঁদের হ্যালো বলবেন। ‘স্টপ দ্য স্টিল’, ‘মিলিয়ন মেগা মার্চ’ ও ‘উইমেন ফর আমেরিকা ফার্স্ট’ ব্যানারে কয়েকটি দল সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করার কথা। তবে বাইডেনকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক তথ্যও দিচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন। বাইডেন ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে রন ক্লেইনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ট্রাম্প যে প্রয়োজনীয় তথ্য দিচ্ছেন না, তা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ক্লেইন। তিনি বলেছেন, এর ফলে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে।

আর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও কিন্তু কোনোখানে ধোপে টিকছে না। স্থানীয় সময় শুক্রবার মিশিগানের বিচারক রিপাবলিকানদের ভোট কারচুপির আরেকটি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ট্রাম্পের তোলা ভোট জালিয়াতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মার্কিন নির্বাচন কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে গঠিত একটি কমিটি নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্প শিবিরের তোলা বিতর্কের মধ্যেই বলেছে, এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম সুরক্ষিত নির্বাচন। ভোট হারিয়েছে, বদল হয়েছে বা অন্য কোনোভাবে পরিবর্তন হয়েছে—এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি।

ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তিনি কখনোই আবার লকডাউন দেবেন না।

নির্বাচনের পর থেকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনে খুব বেশি সক্রিয় নন। এর মধ্যে ট্রাম্প দুবার গলফ খেলার জন্য হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন। আরেকবার আরলিংটন ন্যাশনাল সেমিট্রিতে ভেটারানস ডে উদ্‌যাপনে অংশ নেন ট্রাম্প।

করোনাভাইরাসের সংক্রমিত ও মৃত্যুর রেকর্ড হওয়ার সময়ও ট্রাম্পকে নীরব থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু ট্রাম্প–ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের উচ্চবাচ্য কিন্তু কমেনি।হোয়াইট হাউসের সাবেক মুখপাত্র কাইলি ম্যাক্যানানি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বাস করেন তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হবেন।


হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ফক্স বিজনেসকে গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘আমরা মনে করি তিনি নির্বাচনে জিতবেন। আমাদের ধারণা ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’