প্রবাসীর সম্পত্তি রক্ষায় আইন প্রণয়নে রিট করা হবে

সংবর্ধনা সভায় বশির আহমেদ

বাংলাদেশে প্রবাসীদের সম্পত্তি রক্ষায় আইন প্রণয়নের জন্য হাইকোর্টে রিট করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ এ কথা বলেছেন। এ জন্য তিনি ভুক্তভোগী প্রবাসীদের বেদখল হওয়া সম্পত্তির যেকোনো একটি সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত তাঁর কাছে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

১ অক্টোবর বশির আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে আগমন উপলক্ষে ব্রঙ্কসের একটি রেস্টুরেন্টে মজুমদার ফাউন্ডেশন গণ সংবর্ধনার আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে বশির আহমেদ এসব কথা বলেন।

মজুমদার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এন মজুমদারের সঞ্চালনায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম বাদশা, এম হোসেন কাজল, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ জামাল হুসেইন, অ্যাটর্নি নাসরিন মনজু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এপিএস আবুল হোসেন, বিবিএর সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এ ইসলাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউজ্জামান, কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ ইন্‌ক-এর সহসভাপতি মিয়া মো. দাউদ, বাকার সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার চৌধুরী, স্থানীয় কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার এম ডি আলাউদ্দিন, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের ডিটেকটিভ মাসুদ রহমান, সার্জেন্ট বিল্লাল হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট জালাল চৌধুরী, নারী নেত্রী সালমা সুমি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আয়োজকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত অতিথি বশির আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। দেশ সেবায় তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য প্রবাসীদের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

বশির আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে প্রবাসীরা বিরাট অবদান রাখছেন। সব সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। সরকারও প্রবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে।

তিনি প্রবাসীদের সম্পত্তি রক্ষায় আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে কোনো কিছু আইনে পরিণত করার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। তবে দেশের উচ্চ আদালত হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট যদি কোনো রিট আবেদন আমলে নিয়ে তা কার্যকর করার উদ্যোগ নেন তাহলে সরকার তা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়।

বশির আহমেদ আয়োজকদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সব সময় তাঁর এলাকাসহ বাংলাদেশের দরিদ্র-অসহায়দের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।