‘ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তারের সময় বাহিনীর নীতি মানা হয়নি’

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রে
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের মিনোপোলিস শহরের পুলিশপ্রধান মেদারিয়া আরাদোন্দো আদালতে বলেছেন, জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তারের সময় বাহিনীর নীতি একেবারেই মানা হয়নি। পুলিশ বিভাগের প্রচলিত নীতি ভঙ্গ করেছিলেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডেরেক শোভিন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এ বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন মিনোপোলিস শহরের পুলিশপ্রধান। তিনি বলেন, ফ্লয়েডকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা বাহিনীর নীতিপরিপন্থী। মেদারিয়া আরাদোন্দো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ওই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল তাঁকে (ফ্লয়েড) নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। তবে তিনি যখন বাধা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তখন তৎক্ষণাৎ সেই কাজ বন্ধ করার প্রয়োজন ছিল।’

জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগ এনে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা জর্জ ফ্লয়েডকে (৪৬) গত ২৫ মে আটক করে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের পুলিশ। আটকের পর ডেরেক শোভিন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে সড়কে চেপে ধরে। এ সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন, ‘দয়া করুন, আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না। আমাকে মারবেন না।’ এক পথচারী ওই সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েড মিনোপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল পুরো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে পরে ইউরোপের বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ করেন শত শত মানুষ। বিক্ষোভ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডাতেও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কেও আদালতকে জানান মেদারিয়া আরাদোন্দো। তিনি জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শোভিনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও তিন কর্মকর্তাকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

ডেরেক শোভিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল ছিল তাঁর বিচারের ষষ্ঠ দিন। এ বিচারকাজ কমপক্ষে এক মাস ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে; যদিও শোভিন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।