বাইডেন যুগে আটক অভিবাসী শিশুকেন্দ্রের প্রথম ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডোনা শহরের সীমান্ত এলাকার আটককেন্দ্রে থাকা শিশু অভিবাসীরা
ছবি: রয়টার্স

অভিবাসী শিশুদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের তৈরি আটককেন্দ্রের পরিস্থিতির প্রথম ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, অপরিসর স্থানে গাদাগাদি করে রয়েছে অভিবাসী শিশুরা। এ ঘটনায় বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, টেক্সাসের ওই আটককেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা সরবরাহ করা হবে।

টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান হেনরি কুয়েলার স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ডোনা শহরের একটি আটককেন্দ্রের ছবি প্রকাশ করেন। তাতে দেখা গেছে, শিশুরা পাতলা কম্বল ব্যবহার করছে এবং তাদের মেঝেতে ঘুমাতে হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এসব ছবি গত সপ্তাহান্তে তোলা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের আটককেন্দ্রটি সরকার চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সীমান্তের কাছে ডোনা শহরে ওই আটককেন্দ্রের অবস্থান। সেখানে প্রায় এক হাজার জনের বাস। প্রকাশিত ছবিতে দেখানো হয়েছে, জো বাইডেনের প্রশাসন ক্ষমতায় বসার পর আটককেন্দ্রগুলো কীভাবে চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডোনা শহরের সীমান্ত এলাকার আটককেন্দ্রে থাকা শিশু অভিবাসীরা
ছবি: রয়টার্স

সমালোচকেরা বলছেন, জো বাইডেনের নীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ওপর থেকে কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই বিধিনিষেধগুলো আরোপ করেছিলেন।

গতকাল হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসবে, তাদের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকার বসবাসের আরও বাড়তি সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ওই সব স্থানে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা লাভের সুবিধা ও আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডোনা শহরের সীমান্ত এলাকার আটককেন্দ্রে থাকা শিশু অভিবাসীরা
ছবি: রয়টার্স

সমালোচকেরা বলছেন, এতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এই শিশুরা আরও ঝুঁকিতে পড়ছে। কারণ, জনঘনত্ব কম থাকায় এই শিশুদের পক্ষে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, টেক্সাসের ডোনা শহরের ওই আটককেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্থানসংকুলান হচ্ছে না। শিশুদের সাবান ব্যবহার ও খাবারের পর্যাপ্ত সুযোগও নেই।

এ বিষয়ে জেন সাকি বলেছেন, ‘এসব ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে, সেটিই আমরা এত দিন ধরে বলে আসছি। সীমান্তে টহলের এই জায়গাগুলো শিশুদের উপযোগী নয়। এখানে শিশুরা বেশি সময়ের জন্য থাকুক, তা আমরাও চাই না।’