বাশারের ক্ষমতা থেকে বিদায় অনিবার্য

নিকি হ্যালি
নিকি হ্যালি

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, ‘রাসায়নিক গ্যাস’ হামলার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, বাশারকে সরানো অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক বিষয়। সিএনএনকে দেওয়া গতকাল রোববার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন নিকি হ্যালি।
বাশার আল-আসাদের ব্যাপারে হঠাৎ করেই দৃশ্যত উল্টো পথ ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ভোরে হোমস প্রদেশের শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরও যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, বাশারকে সরানো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য নয়।
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত খান শেইকুন শহরে গত মঙ্গলবার ‘গ্যাস হামলায়’ শিশুসহ অন্তত ৮৬ জন নিহত হয়। এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে দায়ী করেছে। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ৫৯টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সিরিয়ার সরকারের শায়রাত বিমানঘাঁটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সাক্ষাৎকারে নিকি হ্যালি বলেন, ‘বাশারকে ক্ষমতা থেকে সরানো (যুক্তরাষ্ট্রের কাছে) একমাত্র প্রধান বিষয় নয়। প্রথমত, আমরা আইএস দমনের চেষ্টা করছি। দ্বিতীয়ত, আমরা বাশারকে ক্ষমতায় রেখে ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ সিরিয়া দেখতে পাচ্ছি না। তৃতীয়ত, (সিরিয়া থেকে) ইরানের প্রভাব দূর করতে হবে। এবং শেষ অধ্যায়ে আমাদের একটা রাজনৈতিক সমাধানের দিকে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো সহজ উত্তর নেই এবং একটা রাজনৈতিক সমাধান অবশ্যই হতে হবে।’
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন মনে করছে বাশারকে ক্ষমতায় রেখে রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সিরিয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর মস্কো সফর বাতিল করেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, যুক্তরাজ্য এই সফর ‘বাতিল করার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, দেশটির আসলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বর্তমান ইস্যুগুলোয় কোনো প্রভাবই নেই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন গতকাল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থনের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করেছেন। সানডে টাইমস পত্রিকায় তিনি লেখেন, বাশারকে ‘সমর্থন দেওয়ার মাধ্যমে গত সপ্তাহে সিরিয়ার প্রতিটা বেসামরিক লোকের মৃত্যুর জন্য রাশিয়াও দায়ী।’