বিদায়ের আগে ক্ষমা করার প্রস্তুতি ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এএফপি ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শেষ কর্মদিবসে শতাধিক সাধারণ ক্ষমার আদেশে সই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে দণ্ড মওকুফ, বিচার থেকে দায়মুক্তি এবং দণ্ড কমানোর আদেশ রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের শেষ মুহূর্তের সহযোগীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিএনএন এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার হোয়াইট হাউসের বিশেষ এক সভায় প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার জন্য তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পর্যন্ত ৯৪ জন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে হয় মুক্তি দিয়েছেন, না হয় সাজা কমিয়ে দিয়েছেন।

১৯ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শেষ পূর্ণ কর্মদিবস। ২০ জানুয়ারি দুপুরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগপর্যন্ত তিনি সাধারণ ক্ষমাপত্রে সই করতে পারবেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল দিনভর হোয়াইট হাউসে তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন তাঁর নিজস্ব লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা প্রদান করবেন, কাউকে কাউকে অপরাধ থেকে আগাম মুক্তিও দেবেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে অবারিত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, হাজার হাজার ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমার তালিকায় নাম ঢোকানোর তদবির চলছে শেষ মুহূর্তে।

১৯ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শেষ পূর্ণ কর্মদিবস। ২০ জানুয়ারি দুপুরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগপর্যন্ত তিনি সাধারণ ক্ষমাপত্রে সই করতে পারবেন।

৩ নভেম্বর নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা শুরু করেছেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা থেমে যায়।

এখন ট্রাম্পের হাতে আর সময় নেই। তাঁর পরিবারের লোকজন, রাজনৈতিক সহযোগী, আইনজীবী রুডি জুলিয়ানিসহ অনেককেই আগাম সাধারণ ক্ষমা বা বিচারপ্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা তিনি সই করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ সাধারণ ক্ষমার তালিকায় কাদের নাম থাকছে, তা জানা যায়নি। শোনা যায়, ট্রাম্প তাঁর নিজের জন্য ক্ষমাপত্রে সই করতে পারেন। মার্কিন সংবিধানে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমাপত্রে সই করতে পারেন কি না, এ নিয়ে মার্কিন আইন বিশ্লেষকেরা অনেকটাই বিভক্ত। কারণ, বিষয়টি নিয়ে আর কখনো সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা হয়নি। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নিজের ক্ষমাপত্রে সই করার ক্ষমতা রাখেন।

৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার পর নিজের ক্ষমাপত্রে সই না করতে ট্রাম্পকে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা পরামর্শ দিয়েছেন। এতে ৬ জানুয়ারি ঘটনার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করার সুযোগ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দিনের ঘটনায় উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাঁর বহু অপকর্মের পরামর্শদাতা রুডি জুলিয়ানির নাম এই তালিকায় থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।