মঙ্গলে নাসার ‘অধ্যবসায়’ সঠিক গন্তব্যে
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নতুন রোবট ‘পাসিভিআরান্স’ (অধ্যবসায়) সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করেছে। গ্রহটির নিরক্ষরেখার কাছে জেজিরো নামের বিশেষ একটি খাদে এটি অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে নাসা। খবর বিবিসির।
রোবটটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার খবর নিশ্চিত করেছে জানার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার মিশন কন্ট্রোলের প্রকৌশলীরা। এই মিশনের উপ–প্রকল্প ব্যবস্থাপক ম্যাট ওয়ালেস বলেন, ‘সুখবর হলো, ওই রোবট বহনকারী নভোযানটি এর স্বাভাবিক আকৃতিতেই রয়েছে।’
মঙ্গলে হেলিকপ্টার চালানো যায় কি না, সেটির পরীক্ষাও চালানো হবে এবারের অভিযানে। এ লক্ষ্যে এবারের রোবটটির সঙ্গে একটি ছোট আকারের হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়। এটি ওড়ানোর প্রচেষ্টা সম্ভব হলে তা হবে পৃথিবীর বাইরে ভিন্ন কোনো গ্রহে প্রথমবারের মতো ‘রাইট ব্রাদার্স’–এর মুহূর্ত উপভোগ করার মতো ঘটনা।
ছয় চাকার রোবটটি আগামী দুবছর মঙ্গলে অবস্থান করবে। গ্রহটিতে আগে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, পাথুরে ভূমিতে খননকাজ চালিয়ে সে সম্পর্কে প্রমাণ সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা চালাবে যানটি।
যে বিশেষ খাদে রোবটটি অবতরণ করেছে, শত শত কোটি বছর আগে সেই জেজিরোতে একটি বিরাট হ্রদ ছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয়, সেখানে পানি ও প্রাণেরও সম্ভাব্য অস্তিত্ব ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে (জিএমটি ২০টা ৫৫মিনিট) পাসিভিআরান্স মঙ্গলে সফলভাবে অবতরণ করার সংকেত পান নাসার প্রকৌশলীরা। পরে মঙ্গলের ভূমির প্রথম দুটি ছবি তুলে পাঠায় রোবটটি। এগুলো কম রেজল্যুশনের ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যামেরায় তোলা। ক্যামেরার লেন্সে মঙ্গলের ধুলার আবরণও লক্ষ করা গেছে। তবে ছবিতে এই রোভারের সামনে–পেছনে মোটামুটি পরিষ্কারভাবেই সমতল ভূমির দৃশ্য দেখা সম্ভব হয়।
সুখবর হলো, ওই রোবট বহনকারী নভোযানটি এর স্বাভাবিক আকৃতিতেই রয়েছে।
এই অভিযানের সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্টিভ জার্কজিক। মঙ্গলে রোবটের এ অবতরণ কখনোই সহজ কাজ ছিল না। মহাকাশ অভিযানে নাসার বিশেষ অভিজ্ঞতা–দক্ষতা থাকলেও পাসিভিআরান্স টিমের সব সদস্য গতকাল পর্যন্ত এ অভিযানের সফলতার ব্যাপারে বড় রকমের সতর্কতা প্রকাশ করছিলেন।
এ অভিযানের মধ্য দিয়ে নাসা মঙ্গল গ্রহে এক টন ওজনের দ্বিতীয় রোভার পাঠাল। এর আগে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো রোভার ‘কিউরিসিটি’কে মঙ্গলে পাঠানো হয়। সেটি এ গ্রহের পৃথক একটি খাদে নেমেছিল।
ছয় চাকার রোবটটি আগামী দুবছর মঙ্গলে অবস্থান করবে। গ্রহটিতে আগে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, পাথুরে ভূমিতে খননকাজ চালিয়ে সে সম্পর্কে প্রমাণ সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা চালাবে যানটি।
মঙ্গলে হেলিকপ্টার চালানো যায় কি না, সেটির পরীক্ষাও চালানো হবে এবারের অভিযানে। এ লক্ষ্যে এবারের রোবটটির সঙ্গে একটি ছোট আকারের হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়। এটি ওড়ানোর প্রচেষ্টা সম্ভব হলে তা হবে পৃথিবীর বাইরে ভিন্ন কোনো গ্রহে প্রথমবারের মতো ‘রাইট ব্রাদার্স’–এর মুহূর্ত উপভোগ করার মতো ঘটনা।