সিরিয়ায় দুই দেশের বিমান হামলার সময় আকাশপথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।
সিরিয়ায় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গিদের অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট। অন্যদিকে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র দেশ রাশিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাশারবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী ও জঙ্গিদের অবস্থানে পৃথকভাবে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। দুই পক্ষের বিমান একই আকাশসীমায় তৎপরতা চালানোর ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়।
পেন্টাগনের প্রেস সচিব পিটার কুক গতকাল বলেন, ‘এ স্বাক্ষরের ফলে এখন থেকে সমঝোতা স্মারক কার্যকর হলো।’ রুশ গণমাধ্যমও মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে।
বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ দুর্ভোগে: সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে সরকারি বাহিনী গত সপ্তাহে হামলা শুরু করার পর হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক–বিষয়ক কার্যক্রম সংস্থা (ওসিএইচএ) বলেছে, এ লড়াইয়ের কারণে প্রায় ৩৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের অধিকাংশ আলেপ্পো শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা।
ওসিএইচএর মুখপাত্র ভ্যানেসা হুগুয়েনিন বলেন, বাস্তুচ্যুত মানুষদের কেউ কেউ বিভিন্ন বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছে অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে। বাকিরা খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। বাস্তুহারা এসব লোকের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রয়োজন।
রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে গত শুক্রবার থেকে হামলা শুরু করে দেশটির সরকারি বাহিনী। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সিরিয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া রাশিয়ার বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭০ জন মারা গেছে।