যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের উপহার এক হাজার ভেন্টিলেটর

ফাইল ছবি রয়টার্স
ফাইল ছবি রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে নিউইয়র্কে। গভর্নর কুমোর মতে, নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটি হতে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের পরবর্তী শিকার। গত কয়দিন ধরে গভর্নরের এ উদ্বেগ প্রকাশের মধ্যে ভালো একটি খবর পাওয়া গেল। চীন সরকারের উপহার ১০০০ ভেন্টিলেটর শনিবার জেএফকে বিমানবন্দরে নেমেছে। পাশাপাশি ফেডারেল সরকার প্রদত্ত আরও কিছু চিকিৎসা সামগ্রী সহায়তা নিউইয়র্কের জার্ভিস সেন্টার ও আরও তিনটি ফিল্ড হাসপাতালে সরবরাহ করা হচ্ছে।

গভর্নর কুমো জানান, ওরিগন রাজ্যের গভর্নর কেইট ব্রাউন ১৪০ টি ভেন্টিলেটর ধার দিচ্ছেন। গভর্নর কুমোর মতে যা একটি আশ্চর্যজনক সহায়তা সংকট বটে। তবে নিউইয়র্ক সিটি করোনা ভাইরাস আক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও লংআইল্যান্ড সিটিতে ভাইরাস আক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। তিনি বলেন,দেখুন লং আইল্যান্ডে শতকরা হার ১৬%থেকে ১৭% পরে ১৮% বর্তমানে সেই হার ২২% হারে ঠেকেছে। এ রকম বৃদ্ধির হার আমাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগজনক।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নিউইয়র্কে করোনায় ২৯৩৫ জন মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ তিন হাজার ১৬৯ জন।

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ও আরিফ তালুকদার নামের আরও দুই প্রবাসীর। এ নিয়ে আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। আগামী দুই সপ্তাহে এই পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে-এমন আশঙ্কাই করছে সবাই।

চলমান পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কে কোনো কারণে কেউ বাইরে বের হলে তাদের স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে বের হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। তিনি বলেছেন, ঘরে তৈরি স্কার্ফ বা মাস্ক হলেও তা পরে বাইরে বের হতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় নিউইয়র্ক সিটির সরকারি হাসপাতালগুলো আরও বেশি চিকিৎসক ও নার্স দায়িত্বে আসছেন। স্বাস্থ্য কর্মীরা বিনা মূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ পাবে এবং হাসপাতালে আরও আইসিইউ স্থাপন করা হবে। তবে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড সিটির স্বাস্থ্য ও হাসপাতাল এই ব্যবস্থার মধ্যে পড়বে না। স্ট্যাটেন আইল্যান্ড নগরী সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিকল্পনা থেকে দূরে আছে।