যুক্তরাষ্ট্রে শহর ছাড়িয়ে প্রান্তিক জনপদে করোনা ছড়াচ্ছে

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা এখন আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চের চেয়ে বর্তমানে ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে ভিন্নভাবে। নগরকেন্দ্র থেকে প্রান্তিক জনপদে এ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্যসেবীরা নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের করোনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক ডা. ডেবরা ব্রিকস জনগণকে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নির্দেশাবলি মেনে চলা, মাস্ক পরা ও সামাজিক ব্যবধান মেনে চলার ওপর আবার গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

ডা. ডেবরা ব্রিকস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বছরের শুরুতে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাসটি এখন ভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। প্রথমে যা নগরে কেন্দ্রীভূত ছিল, এখন তা প্রান্তিক এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। যাঁরা গ্রামাঞ্চলে বা প্রান্তিক এলাকায় বাস করছেন, তাঁদের এ ভাইরাস সংক্রমণ করবে না বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। ডেবরা ব্রিকস বলেছেন, যেসব বাড়িতে বিভিন্ন বয়সের লোকজন একত্রে বসবাস করেন, তাঁদের ধরে নিতে হবে নিজেরা এর মধ্যেই সংক্রমিত হয়ে গেছেন, এমন লোকজনকে ঘরেও মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলেছেন করোনা টাস্কফোর্সের এ সদস্য।

ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সর্বশেষ আশঙ্কায় বলা হয়েছে, ২২ আগস্টের মধ্যে করোনাভাইরাসে আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনেস্ট্রেশনের প্রশাসক ডা. স্কট গটলিয়েব ভিন্ন একটি সাক্ষাৎকারে আশঙ্কা করেছেন, মহামারি দমনে এখনো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ডিসেম্বরের মধ্যে আমেরিকায় তিন লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে করোনাভাইরাসের কারণে।

২ আগস্ট সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. ডেবরা ব্রিকস বছরান্তে মোট মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কোনো আগাম কথা বলেননি। তিনি বলেছেন, আমেরিকার দক্ষিণ ও পশ্চিমের রাজ্যগুলোতে ভাইরাসের সংক্রমণ কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তার ওপর নির্ভর করবে বছরান্তে কোভিড-১৯-এ আমেরিকায় মোট মৃত্যুর সংখ্যার হিসাব।