যুক্তরাষ্ট্রে ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু

ব্যস্ত সময় কাটছে স্বাস্থ্যকর্মীদের
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে গত ছয় মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা গেছেন। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে থ্যাংকসগিভিং ডে ছুটির শুরুতেই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৭১৬। এ পর্যন্ত সেখানে করোনায় মৃত্যু ঘটেছে ২ লাখ ৬২ হাজার ১৪৫ জনের। এক দিনে প্রায় দুই লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনা সংক্রমিত দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছয় কোটি পার হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বে মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯। এ সময় সারা বিশ্বে মারা গেছেন ১৪ লাখ ২০ হাজার ৪৬২ জন।

বিশ্বে করোনা শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে ভারত। দেশটিতে ৯২ লাখ ২২ হাজার ২১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৯ জন।

থ্যাংকসগিভিংয়ে ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই পরিবার বন্ধুবান্ধবসহ একত্র হন। তবে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এবার থ্যংকসগিভিংয়ের আগের রাতে ভ্রমণ কম হতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোর জনাকীর্ণ পরিস্থিতির ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা করোনার সতর্কতা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, দেশবাসীকে স্বাস্থ্য সতর্কতা মানার আবেদনের পাশাপাশি টিকা সরবরাহ করার পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করার কথা বলেছেন।

থ্যাংকসগিভিং উপলক্ষে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেছেন, ‘সত্যিকারের আশা আছে। বাস্তব আশা। তাই লেগে থাকুন। নিজেকে ক্লান্তির কাছে আত্মসমর্পণ করতে দেবেন না। আপনারা আপনাদের জীবন ফিরে পাবেন। জীবন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। তা ঘটবেই। এ অবস্থা চিরদিন থাকবে না।’