যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি হচ্ছেন কেটানজি

কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

২৩৩ বছরের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন। এ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। খবর এএফপির।

গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনীত কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসনের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ভোটাভুটি হয়। ৫৩-৪৭ ভোটে কেতানজির নিয়োগ অনুমোদন করে সিনেট। এরপর আইনপ্রণেতারা দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে ‘দেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন।

আর সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চাক শুমার বলেন, ‘এই মাইলফলক কয়েক প্রজন্ম আগে হওয়া উচিত ছিল...কিন্তু আমরা সব সময় দেশকে আরও পরিপূর্ণ করার পথে হাঁটছি। তবু আমেরিকা আজ আমাদের দেশকে আরও পরিপূর্ণ করতে একটি বিশাল পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেনের সঙ্গে পুরো ভোটাভুটি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছেন কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন।

কেতানজি দায়িত্ব নিলে ৯ সদস্যবিশিষ্ট সুপ্রিম কোর্টে নারী বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে ৪ জনে। অপর পাঁচ পুরুষ বিচারপতির মধ্যে চারজন শ্বেতাঙ্গ ও একজন কৃষ্ণাঙ্গ। বিচারপতিদের সবাই হার্ভার্ড কিংবা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।

অবসরপ্রাপ্ত উদারপন্থী বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়ারের স্থলাভিষিক্ত হবেন কেতানজি। তবে তাঁর নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপাবলিকানদের ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কোনো পরিবর্তন আসছে না।

রিপাবলিকানদের অভিযোগ, ওয়াশিংটনের আপিল আদালতের এ বিচারপতি শিশু পর্নোগ্রাফি নির্মাতাদের প্রতি নমনীয়। কারও কারও অভিযোগ, জ্যাকসন সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে গতকাল সিনেটের তিন রিপাবলিকান নেতাও জ্যাকসনকে নিয়োগের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।