শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
রয়টার্স ফাইল ছবি

নভেম্বরের নির্বাচনে হারলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের ভাষ্য, নির্বাচনে হারলে দেখতে হবে কী হয়েছে!

ডাকযোগে ভোটের ব্যাপারে ট্রাম্প তাঁর সন্দেহ আবারও প্রকাশ করেছেন।

বুধবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করার সময় ট্রাম্পের কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, তিনি কি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন?

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, মহামারির সময় ডাকযোগে বর্ধিত ভোট না হলে তিনি বিশ্বাস করেন, ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো দরকার হতো না।

ডাকযোগের ব্যালট সরিয়ে নিলে সবই শান্তিপূর্ণ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো প্রয়োজন হবে না।

ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটরা অন্যদের চেয়ে বেশি জানেন যে ডাক ব্যালট নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেও বলেছেন, তিনি নির্বাচনের ফলাফল দেখেই বলতে পারবেন যে ক্ষমতা ছাড়বেন কি না।

ট্রাম্প প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই ডাকযোগে ভোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার বেশি ভোট ডাকযোগে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে ইতিমধ্যে ডাকযোগে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

করোনা মহামারির কারণে এখনো আমেরিকার লোকজন চলাফেরায় সতর্কতা অবলম্বন করছে। আগামী ৩ নভেম্বর কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার পরিবর্তে ডাকযোগে ভোট দেওয়াকে নিরাপদ মনে করছেন ভোটাররা।

আগের যেকোনো নির্বাচন থেকে এবার ১০ গুণ বেশি ভোট ডাকযোগে পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার এ নিয়ে তাঁর সন্দেহের কথা বললেও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা সংশয়ের কোনো কারণ আছে বলে মনে করেন না।

ডাক ভোটের কারণে ফলাফল চূড়ান্ত হতে বিলম্ব হলে এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঝামেলা পাকাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগে থেকেই ডাক ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন কথা বলছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এখনো বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় এগিয়ে আছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতেও দুই প্রার্থীর অবস্থান খুব কাছাকাছি। এর ফলে এবারের নির্বাচনের ফলাফল খুব কাছাকাছি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং ডাকযোগে ভোটসহ অনুপস্থিতি ভোট এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।