শ্রেণিকক্ষে ‘স্নোম্যান’

শিক্ষার্থীদের সেই তুষার দেখাচ্ছেন রবিন হিউজ
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

শিক্ষার্থীদের শেখাতে, জানাতে কত কিছুই না করেন শিক্ষকেরা! শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টায়ও কমতি থাকে না তাঁদের। তবে শিশুশিক্ষার্থীদের আনন্দ দিতে এই শিক্ষক যা করেছেন, তা একেবারেই অভিনব।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক শিক্ষিকার চমৎকার উদ্যোগের কথা জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইউপিআই। ফ্লোরিডার টাম্পার সাউথশোর একাডেমির এই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের তুষার দেখানোর জন্য শ্রেণিকক্ষে হাজির করেছেন আস্ত ‘স্নোম্যান’ (তুষারমানব)।

ইউপিআই জানায়, রবিন হিউজ নামের ওই শিক্ষিকা জানতে পারেন, তাঁর কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন ছাড়া আর কেউ তুষার দেখেনি। শিক্ষার্থীদের অদেখা এ জিনিস দেখাতে তিনি উদ্যোগ নিলেন। ফোন করলেন দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কেনটাকিতে বসবাসরত তাঁর বোন অ্যাম্বার এস্টেসকে। বললেন, তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের তুষার দেখাতে চান। তুষার দিয়ে স্নোম্যান বানিয়ে পাঠাতে অনুরোধ করলেন বোনকে।

অ্যাম্বার এস্টেস বলেন, বোনের অনুরোধের পর ভাবতে শুরু করলেন কীভাবে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরের টাম্পায় স্নোম্যান অক্ষত অবস্থায় পাঠানো যায়। এরই মধ্যে চলতি জানুয়ারিতে সেখানে তুষারঝড় হয়। একে সুযোগ হিসেবে নেন অ্যাম্বার। তুষার জড়ো করে তিনি বানিয়ে ফেলেন ছোটখাটো একটা স্নোম্যান। নাম দেন লাকি। পরে লাকিকে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে বিশেষভাবে মোড়কজাত করেন, যাতে গলে না যায়। পরে কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে পৌঁছে দেন লাকিকে। পরদিন সকালে গিয়ে লাকি গিয়ে পৌঁছায় সেই বিদ্যালয়ে।

রবিন হিউজ বলেন, শিশুশিক্ষার্থীদের সামনে যখন তিনি ওই পার্সেলের মোড়ক খোলেন, তখনো অক্ষত ছিল স্নোম্যান। হিউজের ভাষ্য, স্নোম্যান দেখার পর শিশুদের চোখেমুখে যে নির্মল আনন্দ দেখতে পেয়েছেন তিনি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়!

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নোম্যান দেখার সময় বাচ্চাদের উচ্ছ্বাসের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ছোট ছোট শিশুরা স্নোম্যান ছুঁয়ে দেখছে আর লাকি লাকি বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।

হিউজ বলেন, গলে যাওয়া পানি সংরক্ষণ করে রেখেছেন তিনি, যাতে লাকি আরেকটি শিক্ষার অংশ হতে পারে। আসন্ন বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে (২২ এপ্রিল) ওই পানি ঢালা হবে নতুন রোপণ করা একটি বৃক্ষের গোড়ায়।