সমর্থকদের দাঙ্গার পর ট্রাম্পের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ

ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছেন ট্রাম্প–সমর্থকেরা
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হারার ক্ষোভ সইতে না পেরে কংগ্রেস ভবনে তাঁর সমর্থকদের হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক ও টুইটার। ওই দাঙ্গার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুটির কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। খবর সিএনএনের।

টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। এটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারেও প্রথমবারের মতো সতর্ক করে দিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়ে তারা এটাই বুঝিয়েছে যে ট্রাম্প টুইটারের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছেন।

ফেসবুকের কর্তৃপক্ষ তাদের এই প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পকে পোস্ট করা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য আটকে দেয়। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এর আগে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী সমর্থকদের পাঠানো ট্রাম্পের একটি ভিডিও অপসারণ করে তারা। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামেও তিনি ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন।

টুইটার বলেছে, ‘নাগরিক ঐক্য বজায় রাখা নিয়ে আমাদের যে নীতিমালা রয়েছে, ট্রাম্প তা বারবার ও ভীষণভাবে লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁর করা তিনটি টুইট আমরা সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছি। যার অর্থ, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট এই টুইট মুছে ফেলার পর থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।’ টুইটার আরও বলেছে, ভবিষ্যতে নিয়মনীতি ভাঙলে ফলাফল হিসেবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে ফেসবুকের কর্তৃপক্ষ তাদের এই প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পকে পোস্ট করা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য আটকে দেয়। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এর আগে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী সমর্থকদের পাঠানো ট্রাম্পের একটি ভিডিও অপসারণ করে তারা। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামেও তিনি ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন।

এক টুইটে ফেসবুক বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পেজের বিরুদ্ধে আমরা দুটি নীতি লঙ্ঘন করার প্রমাণ পেয়েছি। এ কারণে তাঁর অ্যাকাউন্ট ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে। ফলে এ সময়ে প্ল্যাটফর্মটিতে তিনি কোনো পোস্ট করতে পারবেন না।

টুইটার আরও বলেছে, ভবিষ্যতে নিয়মনীতি ভাঙলে ফলাফল হিসেবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ফেসবুকের নীতিমালা অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করলে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির মুখপাত্রের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুটির এমন পদক্ষেপে নাগরিক অধিকার নিয়ে সক্রিয় বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। ট্রাম্পকে এসব প্ল্যাটফর্মে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।