সুখবরটা কার কাছে পেলেন বাইডেন?

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বেশির ভাগ সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন।

সিএনএনের খবরে জানা যায়, বাইডেনের ডেমোক্র্যাট প্রচার শিবিরের একটি সূত্র বলেছে, নাতনি নাওমিই বাইডেনকে সুখবরটা প্রথম জানিয়েছিলেন। নাওমি জো বাইডেনকে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে তিনি জিতে গেছেন।

এরপরই বাইডেনের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্তের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন নাওমি। সেখানে নাতি-নাতনিদের দলের মধ্যমণি বাইডেনকে দেখা গেছে।

আরেক টুইটে নাওমি বাইডেনের উল্লসিত নাতি–নাতনিদের ছবি পোস্ট করে বলেছেন, ‘যাঁরা জো বাইডেনের কাছে পৌঁছাতে চান, তাঁদের প্রথমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা দেখতে ভয়ংকর নাও হতে পারি। কিন্তু মনে রাখবেন, আমাদের নানা জো বাইডেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। পেনসিলভানিয়ায় পপুলার ভোটে জয় পেয়েছেন বাইডেন। এই অঙ্গরাজ্যের ২০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাচ্ছেন তিনি। এই জয়ে তিনি ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ছাড়িয়ে গেলেন।

এই জয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ইতিহাস গড়লেন বাইডেন। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পপুলার ভোট পাওয়ার ইতিহাসও সৃষ্টি করেন ৭৭ বছর বয়সী এই ডেমোক্র্যাট। তাঁর রানিংমেট কমলা হ্যারিসও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের নিজ শহর উইলমিংটনে জাতির উদ্দেশে বিজয়ী ভাষণ দেন বাইডেন। বিজয়ী হওয়ার পর প্রথম ভাষণে বিভেদ ভুলে ঐক্যের ডাক দিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আমি বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। কোন রাজ্য নীল, কোন রাজ্য লাল, তা আমি দেখি না। আমি দেখি যুক্তরাষ্ট্রকে।’