সৌদির কাছে ৬৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে তৎপর তিন মার্কিন সিনেটর

সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে যে তিন মার্কিন সিনেটর যৌথ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, তাঁদের একজন বার্নি স্যান্ডার্স
ছবি: রয়টার্স

ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে জো বাইডেনও ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদির ভূমিকা নিয়ে তাঁর অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর প্রশাসন সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদির ভূমিকার জেরে দেশটির কাছে বাইডেন প্রশাসনের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন তিন মার্কিন সিনেটর। এ জন্য তাঁরা একটি যৌথ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

তিন মার্কিন সিনেটর হলেন র‍্যান্ড পল, মাইক লি ও বার্নি স্যান্ডার্স। এই তিন সিনেটরের মধ্যে র‍্যান্ড পল ও মাইক লি রিপাবলিকান। আর স্যান্ডার্স স্বতন্ত্র হলেও বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে ককাস করেছেন তিনি।

সৌদির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে তিন সিনেটর এক হয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছেন।

সম্প্রতি সৌদির কাছে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয় মার্কিন সরকার।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে সৌদি আরব যাতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে, সে জন্য রিয়াদের কাছে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের অস্ত্র বিক্রি করছে।

সৌদির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে তিন মার্কিন সিনেটর যৌথ প্রস্তাব এনেছেন।

সিনেটর র‍্যান্ড পল এক বিবৃতিতে বলেছেন, সৌদির কাছে এই অস্ত্র বিক্রি করা হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া তা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রযুক্তির নিরাপত্তাকেও ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

যৌথ বিবৃতিতে স্যান্ডার্স বলেন, ইয়েমেনে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে তারা নিজেদের নাগরিকদের ওপরও নিপীড়ন চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা।

বাইডেন প্রশাসনের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র তার উপসাগরীয় মিত্রদের কাছে কেবল প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র বিক্রির নীতি গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে ইয়েমেন চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে মার্কিন সরকারের তৎপরতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন