১৫ বছরের মধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ অভিবাসী আটক

মেক্সিকো সীমান্তে গত মার্চে অবৈধ অভিবাসীকে আটক করছে বর্ডার পেট্রল এজেন্ট
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত থেকে শুধু গত মার্চ মাসেই এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে বাইডেন প্রশাসন। গত ১৫ বছরের মধ্যে এক মাসে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসী আটকের ঘটনা।

নিউইয়র্ক টাইমস ও এনপিআর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের (সিবিপি) কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।

সিবিপি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসী আটকের এই সংখ্যা চূড়ান্ত নয়। তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়। গত কয়েক মাসে পুরো পরিবার ছাড়াও শিশু ও টিনএজারদের সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার হার অনেক বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এক লাখের বেশি মানুষ এভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছে।

একজন সিবিপি কর্মকর্তা বলেন, সীমান্তে মানুষ আসা অনেক বাড়ছে। এমনও বিষয় আছে, অননুমোদিত অভিবাসীরা সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছেন তা ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে; কিন্তু এজেন্টরা তাদের আটক করছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি সীমান্তে টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বাইডেন প্রশাসনও অভিবাসনব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার নানা রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে অভিবাসীদের বাড়তি সুবিধা দিতে ২ এপ্রিল টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইগল পাসে ৯০ হাজার বর্গফুট এলাকা উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সিবিপি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মা-বাবা ছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে আসা শিশু ও টিনএজারদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে অভিবাসী শিশুদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের তৈরি আটককেন্দ্রের পরিস্থিতির প্রথম ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, অপরিসর স্থানে গাদাগাদি করে রয়েছে অভিবাসী শিশুরা। এ ঘটনায় বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, টেক্সাসের ওই আটককেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা সরবরাহ করা হবে।

টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান হেনরি কুয়েলার গত ২৩ মার্চ ডোনা শহরের একটি আটককেন্দ্রের ছবি প্রকাশ করেন। তাতে দেখা গেছে, শিশুরা পাতলা কম্বল ব্যবহার করছে এবং তাদের মেঝেতে ঘুমাতে হচ্ছে।

সমালোচকেরা বলছেন, জো বাইডেনের নীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ওপর থেকে কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই বিধিনিষেধগুলো আরোপ করেছিলেন।

এ বিষয়ে সেই সময় হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেছিলেন, সামনের দিনগুলোতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসবে, তাদের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকার বসবাসের আরও বাড়তি সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ওই সব স্থানে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা লাভের সুবিধা ও আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।