চলতি পথে সিনেমা দেখা

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবিত-উন্মোচিত হয় অনেক কিছু। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই হয় ইতিহাসে। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ৬ জুন। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

দেশে দেশে ‘ড্রাইভ ইন সিনেমা’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে তোলা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

সড়কজুড়ে পাশাপাশি কয়েকটি গাড়ি রাখা। যে যার গাড়িতে বসে আছেন। সামনে বড় পর্দায় চলছে সিনেমা। সবাই একসঙ্গে সেই সিনেমা দেখছেন। এমন দৃশ্য দেখলে অবাক হবেন না। পশ্চিমা বিশ্বে এটা ‘ড্রাইভ ইন সিনেমা’ নামে পরিচিত। ১৯৩৩ সালের ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে এ সুবিধা চালু হয়। চালু করেন মার্কিন উদ্যোক্তা রিচার্ড হোলিংশেড জুনিয়র। তিনি এটা চালু করেছিলেন ১৯২৮ সালে নির্মিত কোডাকের একটি প্রজেক্টর ব্যবহার করে। দুটি বড় গাছের মাঝে সাদা কাপড় টানিয়ে সেই প্রজেক্টর চালানো হয়েছিল। মানুষ নিজেদের গাড়িতে বসে সেই সাদা পর্দায় সিনেমা উপভোগ করেছিলেন।

বইঠা বেয়ে আটলান্টিক পাড়ি

নরওয়ের জর্জ হারবো ও ফ্রাঙ্ক স্যামুয়েলসন বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যাঁরা বইঠা বেয়ে নৌকা চালিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার কীর্তি গড়েন। ১৮৯৬ সালের এই দিনে এ কীর্তি গড়েন তাঁরা। এ জন্য ৫ হাজার ২৬২ কিলোমিটার বা প্রায় ৩ হাজার ২৭০ মাইল পাড়ি দিতে হয় তাঁদের। সময় লাগে ৫৫ দিন।

নরমান্ডি সৈকতে মিত্রসেনারা

ফ্রান্সের নরমান্ডি সৈকতে মিত্রসেনারা
ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। ফ্রান্স দখল করে নিয়েছে হিটলারের নেতৃত্বাধীন জার্মান নাৎসি বাহিনী। মিত্রবাহিনীর সামনে ফরাসি ভূখণ্ড মুক্ত করার বড় চ্যালেঞ্জ। এ পরিস্থিতিতে ১৯৪৪ সালের ৬ জুন নরমান্ডি সৈকতে উপস্থিত হন লাখ দেড়েক মিত্রসেনা। লক্ষ্য একটাই, ফ্রান্স থেকে নাৎসি সেনাদের হটানো। ইতিহাসে এই দিনটি ‘ডি-ডে’ নামে পরিচিত।

সুইডেনের জাতীয় দিবস

সময়টা ১৫২৩ সাল। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে তখন স্বাধীনতার সংগ্রাম চলছে। নেতৃত্বে ছিলেন গুস্তাভ ভাসা। যুদ্ধ জয়ের পর ওই বছরের ৬ জুন তিনি সুইডেনের রাজা নির্বাচিত হন। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করে সুইডেনবাসী।