হাতির অফুরান ভালোবাসা

হাতির সঙ্গে তত্ত্বাবধায়কের হৃদ্যতা
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো বন্য প্রাণীর উপকার করেন, তার প্রতিদান সেই প্রাণী ভোলে না; বরং মানুষের চেয়ে প্রাণীদের মধ্যে এই কৃতজ্ঞতাবোধ অনেক বেশি। এমন এক ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। দেখা যায়, একটি ছোট্ট হাতি তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা মানুষটিকে কিছুতেই তাকে ছেড়ে যেতে দিচ্ছে না।

ভিডিওতে দেখা যায়, হাতিটি ওই ব্যক্তিকে শুঁড় দিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে আরেক ব্যক্তির সঙ্গে যেতে চাইলে হাতি তাঁকে আটকে দিচ্ছে। ওই ব্যক্তি একবার হাতির হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে মোটরসাইকেলে উঠতে গেলে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে আনে।

তখন লোকটি হাতিটিকে জড়িয়ে ধরে অনেক আদর করেন। এরপর হাতিটি শুঁড় দিয়ে নিজের শরীরের সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে অনেকটা পাঁজাকোলা করে নিয়ে নেয়।

ওই ব্যক্তি বুঝিয়ে, আদর করে বিদায় নিতে চাইলেও তাঁকে যেতে দিচ্ছিল না হাতিটি। একপর্যায়ে হাতিটি ওই ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে লেজ দিয়ে পেঁচিয়ে দৌড় দেয়। এরই মধ্যে ওই ভিডিও ৪০ হাজার মানুষ দেখেছে। চেন্নাইয়ের রেলওয়ের এক আমলা অনাথ রুপানাগুদি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেন।

তবে ঘটনাটি কবেকার ও কোথাকার, সেটা অবশ্য জানা যায়নি।

ভিডিওটি দেখার পর একজন লিখেছেন, ‘ওহ্, কী সুন্দর আত্মার বন্ধন...সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ...এই ভিডিও দেখে আজ আমার দিনটাই ভালো হয়ে গেল।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একজন মানুষ ও একটি হাতির মধ্যে কী গভীর বন্ধন! সত্যিই হৃদয়গ্রাহী।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘সৌন্দর্য, নিষ্পাপ, বিশুদ্ধতা, নিরীহ, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং বন্ধন—এই গুণগুলো প্রায়ই মানুষের মধ্যে খুঁজে পাওয়া কঠিন।’

 ২০১৬ সালের অক্টোবরে হাতির উদার কর্মকাণ্ডের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে (বর্তমানে এক্স) পোস্ট হয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তি পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছেন। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসে হাতি। হাতিটি দ্রুত পানিতে নেমে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ছিল নর্দান থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট নেচার পার্কের।