অস্ট্রেলিয়ায় স্কুলে গুলির ঘটনায় কিশোরের কারাদণ্ড

গুলিপ্রতীকী ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ায় স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় ১৫ বছরের এক কিশোরকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারক তাকে তিন বছরের জন্য কিশোর আটক (সংশোধন) কেন্দ্রে পাঠিয়ে বলেন, ভাগ্য ভালো যে সেদিন ‘ভয়াবহ কিছু হয়নি’।

গত মে মাসে পার্থে আটলান্টিজ বিচ ব্যাপিস্ট কলেজে ওই কিশোর দুটি রাইফেল থেকে তিনটি গুলি করে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। কলেজের স্টাফ ও শিক্ষার্থীরা ভয়ে আলমারি ও ডেস্কের নিচে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।

২০২৩ সালের ২৪ মে ওই কিশোর তার বাবার ক্যাবিনেট থেকে শিকার করার দুটি রাইফেল ও গুলি নেয়। এরপর গাড়ি চালিয়ে কলেজের গাড়ি পার্কে চলে যায়।

আইনজীবীরা ও পার্থ চিলড্রেনস কোর্টের বিচারক হিলটন কোয়াইল এ ধরনের ঘটনা দেশটিতে আর ঘটেছে কি না, তা খুঁজে পাননি। দেশটিতে এ ধরনের গুলির ঘটনা এটিই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।

ওই কিশোরের আইনজীবী সিমন ফ্রেইট্যাগ বিচারককে বলেন, তাঁর মক্কেল সে সময় বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। এমনকি সে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে ভুগছিল, যা আগে ধরা পড়েনি। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে তাকে কারাগারে না পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি।

আইনজীবী আরও বলেন, ‘কিশোরের প্রেমের সম্পর্কটি ভেঙে যাওয়ায় এবং তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া নানা গুজবে সে হতাশায় ভুগছিল।’

ওই কিশোরের করা তিনটি গুলির মধ্যে দুটি স্কুল ভবনের দেয়ালে লেগেছিল। এরপর ওই কিশোর ০০০ নম্বরে ফোন করে অপারেটরকে বলেন, তার ইচ্ছা ছিল সবাইকে গুলি করে নিজে আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু পরক্ষণেই মন বদলায়। কারণ, সে চায় না তার ভাইবোনদের সঙ্গে খুনির সম্পর্ক আছে, এমনটা সবাই বলার সুযোগ পাক।

এবিসির খবরে বলা হয়, প্রথম ওই কিশোরকে ব্যাঙ্কসিয়া হিল কিশোর আটক কেন্দ্রে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১০ দিন পর তিনি জামিন পান। এরপর তাকে একটি হোস্টেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরিবারে মা-বাবার কাছে ফেরত পাঠানো হয়।

গত ডিসেম্বরে স্কুলের স্টাফ ও শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলাসহ নানা অভিযোগে সে দোষী সাব্যস্ত হয়।