এই প্রথম চাঁদে যাচ্ছেন নারী

১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক অ্যাপোলো মিশনের পর এবারেই প্রথম নভোচারীদের নিয়ে চাঁদে যাওয়ার এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস–টু। ২০২৪ সালের নভেম্বরে এই মিশন শুরু হবে।

নাসার পক্ষ থেকে চন্দ্রাভিযানের নভোচারীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়
ছবি: রয়টার্স

পাঁচ দশকের বেশি সময় পর চাঁদে নভোচারী পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গতকাল সোমবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে নতুন চন্দ্রাভিযানের নভোচারীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ চন্দ্র মিশনে একজন নারীকে রাখা হচ্ছে। থাকছেন একজন কৃষ্ণাঙ্গও।

আগামী বছরের এই চন্দ্রাভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন এবং কানাডার একজন নভোচারী অংশ নেবেন।

১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক অ্যাপোলো মিশনের পর এবারেই প্রথম নভোচারীদের নিয়ে চাঁদের এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস–টু। ২০২৪ সালের নভেম্বরে এই মিশন শুরু হবে।

নাসার নভোচারী হিসেবে যাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রেইড ওয়াইজম্যান, ভিক্টর গ্লোভার ও ক্রিস্টিনা কোচের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে কানাডিয়ান মহাকাশ সংস্থার নভোচারী জেরেমি হ্যানসেনের প্রথম মহাকাশযাত্রা হবে এটি।

ক্রিস্টিনা কোচ
নাসার টুইটার থেকে সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের হাউসটনে জনসন স্পেস সেন্টারে গতকাল চার নভোচারীকে পরিচয় করিয়ে দেন নাসার পরিচালক বিল নেলসন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী রকেট তাদের চাঁদে আনা–নেওয়া করবে। আমরা চাঁদের অভিযান শুরু করছি। এরপর আমরা মঙ্গলগ্রহের দিকে যাত্রা করব।’

নভোচারী রেইড ওয়াইজম্যান এর আগে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন। তাঁকে আর্টেমিস টু মিশনের কমান্ডার ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন

সবচেয়ে দীর্ঘ সময় মহাকাশে সময় কাটানোর রেকর্ডধারী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্টিনা কোচ (৪৪) চন্দ্রাভিযানে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি এ অভিযানে অংশ নিতে পরে রোমাঞ্চিত।

ক্রিস্টিনা কোচই প্রথম নারী হিসেবে চন্দ্র অভিযানে যাচ্ছেন।

নভোচারী রেইড ওয়াইজম্যান এর আগে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন। এ ছাড়া নাসার প্রধান নভোচারী হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁকে আর্টেমিস টু মিশনের কমান্ডার ঘোষণা করা হয়েছে। এই মিশনে অবশ্য তাঁরা চাঁদে অবতরণ করবেন না। তাঁরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবেন।

অন্যদিকে গ্লোভার (৪৬) প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হিসেবে এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। তিনি এর আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজ করছেন। চন্দ্র মিশনের ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন তিনি। কানাডার সেনাবাহিনীর সদস্য হ্যানসেন এ মিশনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।